ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। হ্যাঁ, শুধু রুকু পেলেই ঐ রাকায়াত পেয়েছে বলে গন্য হবে। চার ইমাম সহ অধিকাংশ ইমাম ও ফকীহর অভিমত এটাই। তাড়াহুড়ো করে রুকু পেলেও রাকয়াত রাকায়াত পেয়েছে বলেই ধর্তব্য হবে। তবে হাদীসে রাসূলুল্লাহ সা. তাড়াহুড়ো করতে নিষেধ করেছেন। বিস্তারিত নিম্নরুপ:
আল্লামা ইবনুল মুনযির (মৃত্যু ৩১৯ হি.) বলেন, وَمِمَّنْ قَالَ إِنَّ مَنْ أَدْرَكَ الْإِمَامَ رَاكِعًا فَقَدْ أَدْرَكَ الرَّكْعَةَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، وَمَيْمُونُ بْنُ مِهْرَانَ، وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، وَالْأَوْزَاعِيُّ، وَالشَّافِعِيُّ، وَأَحْمَدُ، وَإِسْحَاقُ، وَأَبُو ثَوْرٍ، وَحُكِيَ ذَلِكَ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، وَالنُّعْمَانِ وَفِيهِ قَوْلٌ ثَانٍ: قَالَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ: مَنْ أَدْرَكَ الْقَوْمَ رُكُوعًا فَلَا يَعْتَدَّ بِالرَّكْعَةِ
অর্থ: যে ব্যক্তি ইমামকে রুকুতে পেল সে রাকায়াত পেল একথা যারা বলেন, তাদের ভিতর রয়েছেন সাইদ ইবনে মুসায়্যাব, মায়মুন ইবনে মিহরন, সুফইয়ান সাউরী, আউযায়ী, শাফেয়ী, আহমাদ, ইসহাক, আবু ছাওর। আর এমনই বর্ণিত আছে মালেক ইবনে আনাস ও নুমান (আবু হানীফা) থেকে। এই বিষয়ে আরেকটি মত হল, যে ব্যক্তি লোকদেরকে রুকুতে পাই সে ঐরুকুকে রাকয়াত হিসাবে গন্য করবে না। এটা বলেছেন আবু হুরায়রা র.। আল-আউসাত ফিস-সুনানি ওয়াল ইজমা ওয়াল ইখতিলাফ: ৪/১৯৬, ২০২৫ নং হাদীসের আলোচনায়। আরো দেখুন, আলফিকহুল ইসলামিয়্যু ওয়া আদিল্লাতহু:২/৩২৫। এই বিষয়ে দলীলসমূহের কিছু নিচে বর্ণণা করা হল:
১.عَنْ أَبِي بَكْرَةَ أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ رَاكِعٌ فَرَكَعَ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَى الصَّفِّ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ زَادَكَ اللَّهُ حِرْصًا ، وَلاَ تَعُدْ. অর্থ: আবু বাকরতা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূর সা. নামাযে রুকু করছেন এঅবস্থায় তিনি তাঁর কাছে উপনীত হলেন। তখন তিনি কাতারে পৌছার পূর্বেই রুকু করলেন। এরপর বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সা. এর নিকট বললেন। তখন রাসলুল্লাহ সা. বললেন, আল্লাহ তোমার আগ্রহ বৃদ্ধি করে দিন, আর এমন করেব না।সহীহ বুখারী: হাদীস নং ৭৮৩। এই হাদীস থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, মুসল্লী যদি ইমামকে রুকুতে পায় তাহলে সে রাকায়াত পেয়েছে হিসাবেই ধরা হবে। কারন এই সাহাবী জামায়াতে নামায পড়তে গিয়ে ইমামকে তথা রাসূলুল্লাহ সা. কে রুকুতে পেয়েছেন আর রাসূল সা. তাঁর প্রশংসা করেছেন এবংতাকে পূনরায় নামায পড়তে আদেশ করেননি। ২.عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم
– إِذَا جِئْتُمْ إِلَى الصَّلاَةِ وَنَحْنُ سُجُودٌ فَاسْجُدُوا وَلاَ تَعُدُّوهَا شَيْئًا وَمَنْ أَدْرَكَ الرَّكْعَةَ فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلاَةَ
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন,রাসূল সা. বলেছেন, আমরা সিজদায় থাকাকালীন যখন তোমরা নামাযে আসবে তখন তোমরা সিজাদাহ করবে আর ওটাকে রাকয়াত হিসাবে গণনা করবে না। এবং যে ব্যক্তি রুকু পেল সে নামায তথা রাকয়াত পেল । সুনানে আবু দাউদ: হাদীস নং ৮৯৩, সহীহ ইবনু খুজায়মা: হাদীস নং ১২১। মুসতাদরকে হাকেম: হাদীস নং ৭৮৩। হাদিসটির সনদে কিছুটা দুর্বলতা আছে তবে এই অর্থের অনেকগুলো সহীহ হাদীস থাকায় হাফেজ জাহাবী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। হাকেম রহ. বলেছেন, বলেছেন সহীহুল ইসনাদ। শাইখ আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। এই হাদীসটি সম্পর্কে বিস্তারিত জন্য দেখুন, সহীহ আবু দাউদ:হাদীস নং ৮৩২। ৩.عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ عَنْ رَجُلٍ عَنِ النَّبِىِّ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ إِذَا جِئْتُمْ وَالإِمَامُ رَاكِعٌ فَارْكَعُوا ، وَإِنْ سَاجِدًا فَاسْجُدُوا ، وَلاَ تَعْتَدُّوا بِالسُّجُودِ إِذَا لَمْ يَكُنْ مَعَهُ الرُّكُوعُ তাবেঈ আব্দুল আযীয ইবনে রুফা একজন লোক থেকে তিনি রাসূল সা. থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সা. বলেছেন, ইমাম রুকুতে থাকা অবস্থায় যখন তোমরা আসবে তখন তেমরা রুকু করবে আর সিজদায় থাকা অবস্থায় আসলে সিজদাহ করবে। তবে যখন সিজদার সাথে রুকু থাকবে না তখন তাকে রাকয়াত হিসাবে গন্য করবে না। আসসুনানুল কুবরা: হাদীস নং ২৬৭৯। শায়খ আলবানী রহ. সহীহ আবু দাউদ এর মধ্যে উক্ত হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেন,
قلت: وإسناده صحيح؛ إن كان الرجل الذي لم يسمَّ صحابيّاً، ولعله الراجح؛فإن عبد العزيز بن رفيع تابعي جليل، روى عن جماعة من الصحابة؛ منهم العبادلة:ابن عمر وابن عباس وابن الزبير. وسواءَّ كان هو واحداً من هؤلاء أو رجلاً آخر من الصحابة؛ فالصحابة كلهم عدول
আমি বলব, হাদীসটির সনদ সহীহ; যে ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি তিনি যদি সাহাবী হন আর এটাই এখানে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। কেননা আব্দুল আযীয ইবনে রুফা একজন বড়মাপের তাবেঈ। তিনি অনেক সাহাবী থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। তাদের মধ্যে রয়েছে ইবনে উমার, ইবনে আব্বাস, ইবনে জুবায়ের। বর্ণনাকারী এই সহাবীদের কেউ হোক কিংবা অন্য কোন সাহাবী হোক সমান কথা। কেননা সকল সাহাবী আদেল (ন্যায়পরায়ণ)। সহীহ আবু দাউদ: হাদীস নং৮৩২। এছাড়াও সাহাবীর নাম সহ হাদীসটি উক্ত তাবেয়ী থেকে পাওয়া যায় । শায়খ আলবনী রহ. সিলসিলাতুস সহীহাহ কিতাবে বলেছেন এই হাদীসটি ইসহাক ইবনে মানসরি আলমারওযী মাসাইলে আহমাদ কিতাবে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি নিম্নরুপ:
৪.عبد العزيز بن رفيع عن ابن مغفل المزني قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم إذا وجدتم الإمام ساجدا فاسجدوا أو راكعا فاركعوا أو قائما فقوموا و لا تعدوا بالسجود إذا لم تدركوا الركعة আব্দুল আযীয ইবনে রুফা ইবনে মুগফ্ফাল আলমুযানী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূল সা. বলেছেন, যখন তোমরা ইমামকে সিজদারত অবস্থায় পাবে তখন তোমরা সিজদাহ করবে, যখন রুকুরত পাবে তখন রুকু করবে আর যখন দাড়ানো অবস্থায় পাবে তখন দাড়াবে। রুকু না পেলে সিজদাকে রাকয়াত হিসাবে গণ্য করবে না। হাদীসটি উল্লেখ করার পর শায়খ আলবনী বলেছেন, এটা সহীহ সনদ, এর বর্ণনাকারী সবাই ছিকাহ,বুখারী মুসলিমের রাবী। বিস্তারিত দেখুন, সিলসিলাতুস সহীহাহ হাদীস নং ১১৪৪। মারফু হাদীসের পাশাপাশি অনেক সাহবী থেকে সহীহ সূত্রে বর্ণিত আছে তারা রুকু পাওয়াকে রাকয়াত পাওয়া হিসাবেই গণ্য করতেন। তার কিছু নিম্নরুপ:
৫.عن مالك عن نافع :أن عبد الله بن عمر بن الخطاب كان يقول إذا فاتتك الركعة فقد فاتتك السجدة
ইমাম মালেক রহ. নাফে থেকে বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা. বলতেন, যখন তোমার থেকে রুকু ছুটে গেল তখন তোমার থেকে সিজদাহ ছুটে গেল। মুয়ত্তা মালেক: হাদীস নং ১৬। ৬.هُبَيْرَة بن يَرِيم عَنْ عَلِيٍّ، وَابْنِ مَسْعُودٍ، قَالا: مَنْ لَمْ يُدْرِكِ الرَّكْعَةَ فَلا يَعْتَدُّ بِالسَّجْدَةِ হুবাইরা ইবনে মারয়াম আলী ও ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তারা বলেছেন, যে রুকু পাবে না সে সিজদাহকে রাকয়াত হিসাবে গণ্য করবে না। আলমুজামুল কাবীর লিত-তবরনী: হাদীস নং ৯২৪৬ । আল্লামা হ্য়াছামী বলেছেন, বর্ণনাকারীগন ছিকাহ। মাজমাউজ ঝাওইদ: হাদীস নং ২৪০২
একই সনদে বর্ণিত আরেকটি হাদীস, ৭.هُبَيْرَة بن يَرِيم عن بن مسعود قال من فاته الركوع فلا يعتد بالسجود হুবাইরা ইবনে মারয়াম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যার রুকু ছুটে যাবে সে যেন সিজদাহকে রাকয়াত গন্য না করে। মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক: হাদীস নং ৩৩৭২। ৮.عَنْ أَبِى الأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ يَعْنِى ابْنَ مَسْعُودٍ قَالَ : مَنْ لَمْ يُدْرِكِ الإِمَامَ رَاكِعًا لَمْ يُدْرِكْ تِلْكَ الرَّكْعَةَ
আবুল আহওয়াস আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিি ন বলেছেন,যে ইমামকে রুকু অবস্থায় পেল না সে ঐরাকয়াত পেল না। আসসুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্কী: হাদীস নং ২৬৮১। শায়খ আলবানী বলেছেন, সনদ সহীহ। ইরওউল গলীল: ৪৯৬ নং হাদীসের আলোচনায়। ৯.عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ قَالَ : خَرَجْتُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ يَعْنِى ابْنَ مَسْعُودٍ مِنْ دَارِهِ إِلَى الْمَسْجِدِ ، فَلَمَّا تَوَسَّطْنَا الْمَسْجِدَ رَكَعَ الإِمَامُ ، فَكَبَّرَ عَبْدُ اللَّهِ وَرَكَعَ وَرَكَعْتُ مَعَهُ ، ثُمَّ مَشَيْنَا رَاكِعَيْنِ حَتَّى انْتَهَيْنَا إِلَى الصَّفِّ حِينَ رَفَعَ الْقَوْمُ رُءُوسَهُمْ ، فَلَمَّا قَضَى الإِمَامُ الصَّلاَةَ قُمْتُ وَأَنَا أَرَى أَنِّى لَمْ أُدْرِكْ ، فَأَخَذَ عَبْدُ اللَّهِ بِيَدِى وَأَجْلَسَنِى ، ثُمَّ قَالَ : إِنَّكَ قَدْ أَدْرَكْتَ
যায়দ ইবনে ওহাব বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ এর সাথে তাঁর বাড়ী থেকে মসজিদে গেলাম। আমরা যখন মসজিদের মাঝে তখন ইমাম রুকুতে গেল তখন আব্দুল্লাহ তাকদিয়ে রুকুতে গেলেন, আমিও তাঁর সাথে গেলাম। এরপর আমরা রুকু অবস্থায় হাঁটতে হাঁটতে কাতারে পৌছলাম, এই সময়ের মধ্যে মুসল্লীরা তাদের মাথা উঠালো। যখন ইমাম নামায শেষ করলেন তখন আমি এই ভেবে দাড়ালাম যে আমি ঐরাকয়াত পায়নি। তখন আব্দুল্লাহ আমাকে হাত ধরে বসিয়ে দিয়ে বললেন, তুমি রাকয়াত পেয়েছ। আসসুনাসনুল কুবরা লিলবায়হাক্কী; হাদীস নং ২৬৯০। শায়খ আলবানী বলেছেন সনদ সহীহ। ইরওউল গলীল:৪৯৬ নং হাদীসের আলোচনায়। ১০.عَنْ نَافِعٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، قَالَ : إذَا جِئْت وَالإِمَامُ رَاكِعٌ فَوَضَعْتَ يَدَيْك عَلَى رُكْبَتَيْك قَبْلَ أَنْ يَرْفَعَ رَأْسَهُ ، فَقَدْ أَدْرَكْت
নাফে ইবনে উমার থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন ইমামের রুকু অবস্থায় যখন আসবে তখন যদি ইমামের মাথা তোলার পূর্বেই তুমি তোমার হাত হাঁটুর উপর রাখ তাহলে তুমি রাকয়াত পাবে। মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা: হাদীস নং ২৫৩৪। শায়খ আলবানী বলেছেন,সনদ সহীহ। ইরওউল গলীল:৪৯৬ নং হাদীসের আলোচনায়। ১১.عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ: أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، كَانَ يَرْكَعُ عَلَى عَتَبَةِ الْمَسْجِدِ وَوَجْهُهُ إِلَى الْقِبْلَةِ, ثُمَّ يَمْشِي مُعْتَرِضًا عَلَى شِقِّهِ الْأَيْمَنِ ثُمَّ يَعْتَدُّ بِهَا إِنْ وَصَلَ إِلَى الصَّفِّ أَوْ لَمْ يَصِلْ খারিজা ইবনে যাইদ ইবনে ছাবিত বর্ণনা করেন যে, যাইদ ইবনে ছাবিত মসজিদের চৌকাঠে রুকু করতেন আর তাঁর চেহারা ক্বিবলামখী থাকত। এরপর হেঁটে হেঁটে সামনে যেতেন। তিনি এটাকে রাকয়াত হিসাবে গণ্য করতেন, কাতরে পৌছান কিংবা না পৌছান। শরহে মায়ানিল আছার: হাদীস নং ২৩২৬। শায়খ আলবানী রহ. বলেছেন, সনদ ভাল। ইরওউল গলীল: ৪৯৬ নং হাদীসের আলোচনায়। উক্ত মাসয়ালার ক্ষেত্রে নিজের মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে শায়খ আলবানী রহ. বলেন,
وردت عن جماعة من الصحابة بأسانيد صحيحة أن مدرك الركوع مدرك للركعة، ولم يصح عن أحد منهم خلاف ذلك
একদল সাহাবী থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, যে রুকু পাবে সে রাকয়াত পাবে। একজন সাহাবী থেকেও সহীহ সূত্রে এর বিপরীত বর্ণিত নেই। সহীহ আবু দাউদ: ৮৩২ নং হাদীসের আলোচনায়। তাড়াহুড়ো না করার দলীল:
عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : إذا أتيتم الصلاة فلا تأتوها وأنتم تسعون وأتوها تمشون وعليكم السكينة فما أدركتم فصلوا وما فاتكم فاقضوا অর্থ: আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, তোমরা তাড়াহুড়ো করে নামাযে আসবে না, ধীরস্থীর ভাবে আসবে। ইমামের সাথে যতটুকু পাবে পড়বে আর যা পাবে না পরে পড়বে। সুনানু নাসায়ী: হাদীস নং ৮৬১। শায়খ আলবনী বলেছেন, হাদীসটি সহীহ। এই হাদীসে পষ্টভাবে তাড়াহুড়ো করে নামাযে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে যেভাবেই হোক রুকু পেলে রাকয়াত রাকায়অত পেয়েছে বলেই গন্য হবে। উপরের আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, হাদীসের আলোকে মুসল্লাীর রুকু পাওয়াকে রাকায়াত পাওয়া হিসাবেই ধরা হবে। আর নামাযে ধীরস্থীর ভাবে আসতে হবে, তাড়াহুড়ো করা যাবে না। ইমামের সাথে যতটুকু পাওয়া যায় ততটুকু আদায় করতে হবে বাদবাকী পরে পড়তে হবে। তবে তার অর্থ এই নয় যে, পুরো নামায পাওয়া জন্য কোন চেষ্টা থাকবে না, মনে কোন চিন্তা থাকবে না। এই হাদীসে শুধু নামাযের জন্য মাসজিদে আসার সময় শান্ত ভাবে আসতে বলা হয়েছে। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।