ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনে মুসলিম মহিলাদেরকে বলেছেন,وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى তোমরা তোমাদের বাড়ি ঘরের মধ্যে থাকো, প্রাচীন জাহেলী যুগের মহিলাদের মত নিজেদের প্রাদর্শন করো না। সূরা আহযাব, আয়াত নং ৩৩।
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ পুরুষরা মহিলাদের উপর কর্তৃত্ব করবে, কারণ আল্লাহ একজনকে অন্যজনের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেনএবং পুরুষেরা তাদের টাকা পয়সা খরচ কর। সূরা, নিসা আয়াত ৩৪।
বিদায় হজ্জের ভাষনে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللَّهِ وَلَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لاَ يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ. فَإِنْ فَعَلْنَ ذَلِكَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ তোমরা তাদের লজ্জাস্থানকে হালাল করেছো আল্লাহর কালিমা দ্বারা… তাদের খাবার-দাবার ও পোশাকের দায়িত্ব তোমাদের ওপর। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০০৯;সুনানু আবু দাউদ, হাদীস নং ১৯০৭।
আলেমদের এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষন করেছেন যে, স্ত্রীর ভরন-পোষনের দায়িত্ব স্বামীর। আলমাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যাতুল কুয়েতিয়্যাহ, ৪১/৩৫।
উপরের আয়াত ও হাদীস থেকে জানা যায়, মহিলাদের দায়িত্ব হলো ঘর সামলানো আর পুরুষের দায়িত্ব হলো পরিবারের আর্থিক দিকটি সামলানো। এর বাইরে গেলে পৃথীবির স্বাভাবিক ভারসম্য নষ্ট হয়। আমরা দেখছি ইউরোপ-আমেরিকাতে মহিলারা বাইরে কাজ করে এমন পর্যায় গিয়েছে যে, অনেকেই পরিবার গঠন করতে, সন্তান নিতে রাজী নয়। ফলসরূপ জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। স্বাভাবিক ভারসম্য নষ্ট হচ্ছে আর সেখানে পুরুষরা মহিলাদের কোন দায়িত্ব নিতেও রাজী নয়। আমাদের দেশের অনেক মহিলা বিদেশে গিয়ে রান্নাবান্না ও ঘর গোছানের কাজ করে। যখন তারা বিদেশে গিয়ে এটা করে তখন সবাই সেটাকে বিশেষ কাজ মনে করে আর ঐ একই কাজ যখন নিজের বাড়িতে করে তখন সেটাকে তারা কাজ মনে করে না। এটার কারণ আমাদের মাথা পঁচে গিয়েছে। সুস্থ চিন্তা করার ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে। উপার্জনের নামে মহিলাদের বাইরে বের হওয়ার অবাধ সুযোগ দিয়ে জাতিকে দিন দিন ধ্বংসের দিকেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে মনে হয়।
তবে কোন মহিলার যদি বাইরে গিয়ে কাজ করা ছাড়া জীবন পরিচালনার কোন উপায় না থাকে তাহলে পূর্ণ পর্দার সাথে বাইরে কাজ করতে পারবে। মহিলাদের সাথে কাজ করতে হয় এমন জায়াগায় কাজ করতে চেষ্ট করবে।
মুসলিম দেশে কান খোলার কথা বলা দূর্ভাগ্যজনক। একান্ত প্রয়োজনে যদি চাকুরী করতেই হয় তাহলে যেখানে পূর্ণপর্দর রক্ষা হয় সেখানে করতে হবে। আল্লাহর উপর ভরসা করে কান খোলা বা এ জাতীয় নিষিদ্ধ বিষয়ে যেখানে বাধ্য করা হবে সেখানে চাকুরী করা থেকে বিরত থাকতে হবে। وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا (2) وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ যে আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার একটা রাস্তা বের করে দিবেন। এমন উৎস থেকে রিযিক দান করবেন যা কখানো সে কল্পনাও করে নি। যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। সূরা তলাক, আয়াত ২-৩।
“পাসপোর্ট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড” এগুলো আবশ্যকীয় প্রয়োজন। এগেুলো যেখানে প্রয়োজন সেখানে এগুলো ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা নেই। চাকুরী এ রকম কোন বিষয় নয়। জীবিকার বহু পথ খোলা আছে। যেখানে ইসলামী বিধান মেনে জীবিকা নির্বাহ করা যায়।