ওয়া আলাইকুমুস সালাম। না, এই স্থানটি শরয়ী পরিভাষার “মসজিদ” হিসেবে এটা গণ্য হবে না। মসজিদের জন্য জমি দান করলে কেবল সেই স্থানটি মসজিদের মর্যাদা পাবে। আর যেখানে বেশী মানুষের জামাত হবে সেখানে সওয়াবে বেশী হবে। আপনাদের ছাদের নামাযের স্থানের চেয়ে মসজিদে স্বাভাবিকভাবেই বেশী হবে, সুতরাং মসজিদে গেলে সওয়াব বেশী হবে। ن أبي بن كعب، قال: صلى بنا رسول الله – صلى الله عليه وسلم – يوما الصبح فقال: “أشاهد فلان؟ ” قالوا: لا، قال: “أشاهد فلان؟ ” قالوا: لا، قال: “إن هاتين الصلاتين أثقل الصلوات على المنافقين، ولو تعلمون ما فيهما لأتيتموهما ولو حبوا على الركب، وإن الصف الأول على مثل صف الملائكة، ولو علمتم ما فضيلته لابتدرتموه، وإن صلاة الرجل مع الرجل أزكى من صلاته وحده، وصلاته مع الرجلين أزكى من صلاته مع الرجل، وما كثر فهو أحب إلى الله تعالى”
উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে ফজরের সালাত আদায় করার পর বললেনঃ অমুক হাযির আছেন কি? সাহাবীগণ বললেনঃ না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ দুই ওয়াক্ত (ফজর ও ’ইশা) সালাতই মুনাফিকদের জন্য বেশি ভারী হয়ে থাকে। তোমরা যদি এই দুই ওয়াক্ত সালাতে কি পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে তা জানতে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তোমরা অবশ্যই এতে শামিল হতে। জামা’আতের প্রথম কাতার মালায়িকাহর (ফিরিশতাদের) কাতারের সমতুল্য। তোমরা যদি এর ফাযীলাত সম্পর্কে জানতে, তাহলে অবশ্যই তোমরা এজন্য প্রতিযোগিতা করতে। নিশ্চয় দু’জনের জামা’আত একাকী সালাত আদায়ের চেয়ে উত্তম। তিনজনের জামা’আত দু’জনের জামা’আতের চেয়ে উত্তম। জামা’আতে লোক সংখ্যা যত বেশী হবে মহান আল্লাহর নিকট তা ততই বেশি পছন্দনীয়। সুনানু আবু দাউদ, হাদীস নং ৫৫৪। হাদীসটি হাসান সহীহ।