ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ওয়াআলাইকুমুস সালাম। শায়খ ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. তাঁর বিখ্যত গ্রন্থ রাহে বেলায়েতএ হাদীসে বর্ণিত শব্দ ছাড়া অন্য শব্দে দরুদ বা সালাত-সালাম পড়া সম্পর্কে বলেন, সালাত ও সালামের বাক্যাবলির রূপরেখা: আমরা দেখেছি, মুমিন যে কোনো ভাষায় ও বাক্যে আল্লাহর যিকর বা প্রার্থনা করলে তিনি মূল ইবাদতের সাওয়াব ও ফল পেতে পারেন। তবে মুমিনের শ্রেষ্ঠ বাসনা সকল বিষয়ে রাসূলুলাহ (সা.)-এর অনুকরণ করা। যিকর ও দুআর ক্ষেত্রে তাঁর শেখানো বা আচরিত বাক্যগুলো হুবহু ব্যবহার মুমিনের সর্বোচ্চ কাম্য ও দায়িত্ব। এতে সাওয়াব ও কবুলিয়্যাতের আশা অনেক বেশি। সাহাবী-তাবিয়ীগণ মাসনূন বাক্যাবলি ব্যবহারের পাশাপাশি কখনো কখনো অন্যান্য বাক্য ব্যবহার করতেন। তবে সুন্নাতের ব্যতিক্রম বাক্য দ্বারা যিকর, দুআ বা দরুদ-সালাম পালন রীতিতে পরিণত করলে মাসনূন বাক্যাবলির প্রতি অনীহা এবং এ বিষয়ক সুন্নাতের প্রতি অবজ্ঞার মনোভাব জন্ম নেয়, মাসনূন বাক্যাবলি বা সুন্নাতের মৃত্যু ঘটে এবং এভাবে খেলাফে সুন্নাত থেকে বিদআতের জন্ম হয়। এ মূলনীতির ভিত্তিতে মাসনূন বাক্যগুলোর অর্থবোধক যে কোনো বাক্যে রাসূলুলাহ সা.কে সালাত ও সালাম জানানো যেতে পারে। তবে মাসনূন বাক্যাবলির ব্যবহার সর্বোত্তম রাহে রেলায়াত, সর্বশেষ সংস্করণ, পৃষ্ঠা ১৯২-১৯৩। তিনি এহইয়াউস সুনান গ্রন্থের ২৯৯ পৃষ্ঠায় বলেছেন, অপর দিকে যারা সালাত-সালাম পাঠ করেন তাদের মধ্যেও অনেক খেলাফে-সুন্নাত কাজ রয়েছে। যেমন, সমবেতভাবে সমস্বরে দরুদ ও সালামপাঠ করা…। দরুদ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় বিস্তারিত জানতে উক্ত বইদুটির সালত ও সালাম সংক্রান্ত আলোচনা ভালভাবে পড়ুন। অর্থাৎ হাদীসে বর্ণিত বাক্যে সালাত-সালাম অর্থাৎ দরুদ পড়া সবচেয়ে উত্তম। তবে হাদীসের বাক্যের সাথে মিল রেখে অন্য শব্দেও দরুদ পড়লে সওয়াব হবে। আর সমস্বরে দরু পড়া খেলাফে সুন্নাত কাজ। আপনি যে দরুদগুলোর পড়ার কথা বলেছেন, সেগুলো হাদীসে আছে। পড়তে কোন অসুবিধা নেই। আল্লাহ ভাল জানেন।