মাদ্রাসা, স্কুল বা যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেদম মারধরার কোন সুযোগ ইসলাম দেই নি। পড়তে না চাইলে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদেরকে প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়ে যাবে। শিক্ষার্থী পড়তে চাই না, তারপরও অভিভাবরা জবরদস্তি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠান, এতে এই ধরণের বহু অনাকাঙ্খিত বিষয় ঘটে যায়, পালিয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষকদের বিপদের মুখে ফেলে। সুতরাং অমনেযাগী ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের উচিত প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের বাচ্চাদের সরিয়ে নেয়া। ছোটদের স্নেহ করতে হবে, এটা তো সর্বজনস্বীকৃত কথা। তবে একটু চিন্তা করুন, কোন বাচ্চাকে তার মা বা বাবার চেয়ে কেউ বেশী স্নেহ করে না। কিন্ত সেই বাচ্চা তার মায়ের কাছেই সবচেয়ে বেশী শাসন বা মারধরের শিকার হয়। সবচেয়ে দরদী হওয়ার পরও যখন একজন মা তার ২-৩ জন বাচ্চাকে নিয়ন্ত্রন করতে কখনো কখনো তার নিজ সন্তানের গায়ে হাত তুলে ফেলে, তখন ৪০-৫০ বা তার চেয়েও বেশী বাচ্চাকে নিয়ন্ত্রন করতে একটু শাসনের কখনো প্রয়োজন হতে পারে, এটাই স্বীকার করতেই হবে, যদি স্বীকার না করেন তাহলে বড় অন্যায় হবে। শিক্ষক কোন ছাত্রকে মারধর করবে না, এটাই নিয়ম। তবে ছাত্রের প্রয়োজনে, ছাত্রের ভবিষ্যত যেন উজ্জ্বল হয়, সে জন্য তাকে হালকা শাসন করার অধিকার তার থাকা উচিৎ। তার এই অধিকারটুকু কেড়ে নেয়া হলে সমাজ নষ্ট হয়ে যাবে, যেটা এখন আমাদের সামনে পরিস্কার।