ওয়া আলাইকুমুস সালাম। অধিকাংশ আলেমের মতে প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের অনুমতি ছাড়া কোন বাবা নিজের মেয়েকে বিবাহ দিতে পারবে না। عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تُنْكَحُ الثَّيِّبُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ، وَلَا تُنْكَحُ البِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ، وَإِذْنُهَا الصُّمُوتُ আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত হাদীসে আল্লাহর রাসূল বলেন, ইতপূর্বে বিবাহ হয়েছিলে এমন মেয়েকে বিবাহ দেয়া যাবে না তার কাছে অনুমতি নেয়া ছাড়া, আর প্রাপ্ত বয়স্ক কুমারী মেয়েকে বিবাহ দেয়া যাবে না তার কাছে অনমুত চাওয়া ছাড়া, আর চুপ থাকাটাই তার অনুমতি দেয়া বলে গণ্য। সুনানু তিরমিযী, হাদীস নং ১১০৭। হাদীসটি সহীহ। এই হাদীসের ভিত্তিতে অধিকাংশ আলেমের মত হচ্ছে বাবা জোর করে তার মেয়েকে বিবাহ দিতে পারবে না। যদি জোর করে বিয়ে দেয় তাহলে মেয়ে চাইলে সেই বিয়ে বাতিল করতে পারবে। বিস্তারিত জানতে এই হাদীসের নীচে ইমাম তিরমিযীর বক্তব্য দেখতে পারেন। রাষ্ট্রের কাজ হচ্ছে এটা নিশ্চিত করা যে, কোন বাবা যেন তার মেয়েকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিবাহ দিতে পারবে না। যদি ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয় তাহলে সেই বিয়ে ভেঙে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। আর মেয়ের অভিভাকত্ব রাষ্ট্রের হাতে ন্যস্ত হবে না। হয় আপনার মেয়েকে লেখাপড়া শেষ করতে দিন, অথবা তার অভিভাবকত্ব রাষ্ট্রের হাতে ন্যস্ত করুন। এই ধরণের প্রস্তাব তার বাবার সামনে রাষ্ট্র রাখতে পারবে না। লেখাপড়া করানো বা না করানে সেটা তার বাবার ব্যাপার, বাবা এখানে স্বাধীন, রাষ্ট্র তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। খুব জরুরী কিছু শিক্ষা ছাড়া বেশী লেখা পড়া করানো বাবার ফরজ বা আবশ্যক নয়, কিন্তু মেয়ের ইমান, আমল যেন সঠিক থাকে সেটা নিশ্চিত করা একজন বাবার জন্য আবশ্যক। সুতরাং একজন বাবা মেয়ের ইহলৌকিক ও পরলৌকিক সব বিষয় ভেবে লেখা পড়া কতটুকু করাবেন সেই স্বাধীনতা তার হাতে থাকবে।