As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 5002

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক

প্রকাশকাল: 10 Oct 2019

প্রশ্ন

আসসালামুআলাইকুম। ১. আমি আলেমদের লেকচার থেকে জেনেছি যে কারোর যদি ঘন ঘন বায়ু নির্গত হতেই থাকে তবে এইক্ষেত্রে সে প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করবে। আমার সমস্যা টা হলো ঘন ঘন বায়ু নির্গত হয়না কিন্তু অজু করার পর পর ই বায়ু নির্গত হয়ে যায়। আবার কখনো এমনো হয় যে অজু করে এসে নামাজে দাঁড়িয়েছি তখন অজু নস্ট হয়ে গেছে। আবার নামাজের আগে এরকম হয়না। নামাজে যে বায়ু নির্গত হতেই আছে এমন না কিন্তু দুই একবার হয়। শীতের দিন বার বার অজু করতে,নামাজ ফেলে অজু করতে দৌড়াতে খুব কস্ট হয়। ফজরের সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে বার বার অজু করা কস্টকর হয়ে যায়। এমতাবস্থায় আমার কি করনীয়? খুব খারাপ লাগে যে এইভাবে অজু নস্ট হয়ে যায় বারবার। এমন হয়ে গেছে যে নামাজে দাঁড়ালেই টেনশন শুরু হয় যে কখন না অজু ছুটে যায়। ২. গোসল ফরজ হয়ে যাওয়ার পর যদি এমন সময় গোসল ফরজ হয় যেমন হায়েজ শেষ হলো ফজরের সময় বা তার আগে এতো শীতে এতো ভোরে গোসল দিতে গেলে তো ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে সেক্ষেত্রে কি কোনো উপায় আছে? কাজা নামাজ গোসল দেয়ার পর যুহর নামাজের সাথে আদায় করলে হবে? অথবা যদি রাতেই হায়েজ শেষ হয় সেক্ষেত্রে কি করা যাবে? এশার নামাজ তো কাজা হবে।

উত্তর

ওয়া আলাইকুুমুস সালাম। ১। আপনার বর্ণনা অনুযায়ী বায়ু নির্গত হওয়া আপনার শারীরিক রোগ যতটুকু তার চেয়ে অনেক বেশী মানসিক। আপনার জন্য কোন ছাড় নেই, বায়ু নির্গত হলে নতুন করে ওযু করে নামায পড়তে হবে। তবে নিশ্চিত না হয়ে শুধু সন্দেহের কারণে নামায ছেড়ে ওযু করবেন না। আপনি একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। ২। গোসল ফরজ হওয়ার পর যে নামাযের ওয়াক্ত আসে সেই নামাযের জন্য গোসল করতে হবে। এশার আগে ফরজ হলে এশার নামাযের জন্য গোসল করতে হবে। ফজরের আগে হলে ফজরের নামাযের জন্য গোসল করতে হবে। পানি ঠান্ডা হলে গরম করে নিতে হবে। এখন আধুনিক ব্যবস্থাপনায় পানি গরম করতে তো ৫ মিনিটও লাগে না। তবে গরম পানি ব্যবহার করলেও যদি বড় কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে বা রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে তায়াম্মুম করা যাবে। কোন অবস্থাতেই নামায কাযা করা যাবে না।