ওয়া আলাইকুমুস সালাম। নীচের হাদীসটি দেখুন, عَنْ عَائِشَةَ، قَالَ: سَأَلَهَا رَجُلٌ: هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْفَعُ صَوْتَهُ مِنَ اللَّيْلِ إِذَا قَرَأَ؟ قَالَتْ: نَعَمْ، رُبَّمَا رَفَعَ، وَرُبَّمَا خَفَضَ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الدِّينِ سَعَةً. قَالَ: فَهَلْ كَانَ يُوتِرُ مِنْ أَوَّلِ اللَّيْلِ؟ قَالَتْ: نَعَمْ، رُبَّمَا أَوْتَرَ مِنْ أَوَّلِ اللَّيْلِ، وَرُبَّمَا أَوْتَرَ مِنْ آخِرِهِ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الدِّينِ سَعَةً
হযরত আয়েশা রা, থেকে বর্ণিত যে, একজন লোক আয়েশাকে জিজ্ঞাসা করলেন, রাসূলুল্লাহ সা. কি রাতের সালাতে উচ্চস্বরে পড়তেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, কখনো উচ্চস্বরে পড়তেন, কখনো নীচু স্বরে বা মনে মনে পড়তেন। তখন লোকটি বললেন, আল্লাহর প্রশংসা করছি, যিনি ধর্মের মধ্যে প্রশস্ততা রেখেছেন। লোকটি আবার জিজ্ঞাসা করলো, রাসূলুল্লাহ সা. কি প্রথম রাতে বিতর আদায় করতেন? আয়েশা রা. বললেন, হ্যাছ, কখনো প্রথম রাতে, কখনো শেষ রাতে বিতর আদায় করতেন।তখন লোকটি বললেন, আল্লাহর প্রশংসা করছি, যিনি ধর্মের মধ্যে প্রশস্ততা রেখেছেন। মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং 25383। হাদীসটি সহীহ। ঘুমানোর পূর্বে বা শেষ রাতে বিতর সালাত ৫ বা ৭ রাকাত পড়লে, আপনার কিয়ামুল লাইল ও বিতর উভয়টিই আদায় যাবে। কিয়ামুল ও বিতর সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে পড়ুন রাহে বেলায়াত বইটি।