As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 4751

সালাত

প্রকাশকাল: 1 Feb 2019

প্রশ্ন

আস–সালামু আলাইকুম। মুহতারাম আমি কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছি। জানালে উপকৃত হবো। ১। মাসবুক সালাতে আমি কি তাশাহুদ পড়ার পর বসে থাকবো নাকি দরুদ-শরীফ, দোয়া মাসূরা ইত্যাদি পড়তে পারবো? যেহেতু আমার নামাজ আরোবাকি আছে। ২। ইমাম যখন চুপি চুপি কিরাত পরে তখন আমি প্রথম দুরাকাতে সূরা ফাতিহা পড়তে পারি। কিন্তু পরের রাকাত গুলোতে আমি সূরা ফাতিহা পড়তে পড়তে ইমাম রুকুতে চলে যায়। আমিও অর্ধেকে রুকুতে চলে যায় এতে কি কোনো সমস্যা হবে? মূলত প্রথম দুরাকাতে পড়তে পারি, পরের রাকাত গুলোতে পড়তে পারি না। এক্ষেত্রে পরের রাকাত গুলোতে চুপ থাকি কেননা আমি জানি আমি অর্ধেক পড়তে পারবো। এখন আমার এ কাজটি ভূল কিনা বা কি করা উচিত জানতে চাচ্ছি। আবার, যখন ইমাম জোরে কিরাত পড়ে তখন পরের রাকাত গুলোতে পড়ি না, পড়তে পারিনা। কেননা ইমাম তাড়াতাড়ি পড়ে রুকুতে চলে যায়। আমি যেহেতু জানি আমি সূরা ফাতিহা পুরো পড়তে পারব না তাই আমি আর সূরা ফাতিহা পড়িনা। মূলত জাহিরি কিরাতে আমি সালাতে সূরা ফাতিহা পড়তে পারিনা। এখন কি আমার সালাত হবে? আমার কি করা উচিত। [যেহেতু হানাফি মাযহাবে ইমামের কিরাতই মুক্তাদির কিরাত সেহেতু ইমাম মুক্তাদিকে পড়ার সময় দেয়না। যখন চুপি চুপি পড়ে তখন দ্রুত পড়ে রুকুতে চলে যায়। ]

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। মাসবুক অবস্থায় ইমামের শেষ বৈঠকে আপনি শুধু তাশাহুদু পড়লে ধীরে ধীরে একটু লম্বা করে ইমাম সাহবের সালাম ফিরানোর আগে শেষ করবেন। অথাব স্বাভাবিক নিয়মে তাশাহুদু, দরুদ, দুআ মাসূরা সব কিছু পড়বেন। ২। ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া নিয়ে আপনি জটিলতায় পড়েছেন বুঝা যাচ্ছে। এই জন্য সে সমাজে যে ফিকহী মত অনুস্বরণ করা হয় সেগুলো মেনে চলা ভালো, তাহলে জটিলতা এড়ানো যায়। আপনি চেষ্ট করবেন একটু দ্রুত পড়ে হলেও সূরা ফাতিহা শেষ করার। সম্ভব না হলে যতটুকু পারবেন পড়বেন।