ইমাম আবু জাফর আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ তাহাবী (৩২১হি) বলেন: عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَيَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ قَدْ حَدَّثَانَا قَالا ثنا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمْزَةَ قَالَ حَدَّثَنِي الْوَضِينُ بْنُ عَطَاءٍ أَنَّ الْقَاسِمَ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَهُ قَالَ حَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ r قَالَ: صَلَّى بِنَا النَّبِيُّ َr يَوْمَ عِيدٍ فَكَبَّرَ أَرْبَعًا وَأَرْبَعًا ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ حِينَ انْصَرَفَ قَالَ لا تَنْسَوْا كَتَكْبِيرِ الْجَنَائِزِ وَأَشَارَ بِأَصَابِعِهِ ، وَقَبَضَ إبْهَامَهُ আমাদেরকে আলী ইবনু আব্দুর রাহমান ও ইয়াহইয়া ইবনু উসমান বলেছেন, আমাদেরকে আব্দুল্লাহ ইবনু ইউসূফ বলেছেন, ইয়াহইয়া ইবনু হামযা থেকে, তিনি বলেন: আমাকে ওয়াদীন ইবনু আতা বলেছেন, তাঁকে আবু আব্দুর রাহমান কাসেম বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণের মধ্য থেকে কেউ তাঁকে বলেছেন: নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদের দিনে আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। তখন তিনি ৪ বার এবং ৪ বার তাকবীর বললেন। এরপর সালাত শেষে আমাদের দিকে তাঁর চেহারা মুবারক ফিরিয়ে আমাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন: তোমরা ভুলে যেয়ো না, জানাযার তাকবীরের মত: এ বলে তিনি তাঁর আঙ্গুলগুলো (৪ আঙ্গুল) দিয়ে ইশারা করলেন এবং তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলো গুটিয়ে রাখলেন। ইমাম তাহাবী এ হাদীসটি উল্লেখ করে বলেন : فَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنُ الإِسْنَادِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ ، وَيَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ ، وَالْوَضِينُ وَالْقَاسِمُ كُلُّهُمْ أَهْلُ رِوَايَةٍ مَعْرُوفُونَ بِصِحَّةِ الرِّوَايَةِ এ হাদীসটির সনদ হাসান। আব্দুল্লাহ ইবনু ইউসূফ, ইয়াহইয়া ইবনু হামযা, ওয়াদীন, কাসেম সকলেই প্রসিদ্ধ সহীহ হাদীস বর্ণনাকারী। শরহু মায়ানিল আছার,৪/৩৪৫; সালাতুল ঈদের অতিরিক্ত তাকবীর, পৃষ্ঠা ৬৪। রুকুর দুই তাকবীরসহ এখান মোট আট তাকবীরের কথা বলা হয়েছে। রুকুর দুই তাকবীর বাদ দিলে মোট ৬ তাকবীর হয়। এই হাদীসের সনদ বিস্তারিত পর্যালোচনার পর শায়খ ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহি. সালাতুল ঈদের অতিরিক্ত তাকবীর গ্রন্থে বলেছেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এ হাদীসের সনদের সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য, শুধুমাত্র ওয়াদীন ও তাঁর উস্তাদ কাসেমের বিষয়ে কিছু মতভেদ রয়েছে। অধিকাংশ মুহাদ্দিস এদেরকে নির্ভরযোগ্য বলে গণ্য করেছেন। যারা তাঁদের দুর্বলতা বর্ণনা করেছেন তাঁরাও শুধুমাত্র স্মরণশক্তিগত কিছু দুর্বলতার কথা বলেছেন। মুহাদ্দিসগণের মানদ- অনুসারে তাদের বর্ণিত হাদীস কোনো অবস্থাতেই হাসান পর্যায়ের নিচে নয়। এভাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, হাদীসটির হাসান হওয়ার বিষয়ে ইমাম তাহাবীর দাবি সঠিক বলেই মনে হয়। আল্লাহই ভাল জানেন। আরো হাদীসসহ বিস্তারিত জানতে স্যার রহি. এর লেখা সালাতুল ঈদের অতিরিক্ত তাকবীর বইটি পড়ুন।