As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 4279

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক

প্রকাশকাল: 17 Oct 2017

প্রশ্ন

আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪ জন (বাবা, মা, আমি আর আমার ছোট বোন)। বাবা, মা, বোন একসাথে থাকে মফঃস্বলে থাকে আমি ঢাকায় চাকুরী করি এবং মাঝে মধ্যে ছুটিতে মফঃস্বলে বেড়াতে আসি। প্রশ্ন- ১ঃ আমার বোন ঠিকমত নামাজ পরে না, পর্দাও করে বাইরে বের হয় না এবং সোশিয়াল মিডিয়াতে নিজের ছবি আপ্লোড করে। বড ভাই হিসেবে আমি নিষেধ করি যখন দেখতে এরকম কিছু দেখতে পাই। এক্ষেত্রে যদি ছোট বোন কথা না শুনে আমার বাবা/মা/ আমি তিন জনই গুনাহগার/ দাইউস হবো?
প্রশ্ন- ২ঃ আমার বাবা নামাজ পরে কিন্তু তিনি বলতে গেলে অপরিষ্কার হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে খেয়াল করলে দেখি ওজু ঠিকমত করে না। আর নামাজের কিরাত সবসময় ভুল করে উচ্চারণ করে। এক্ষেত্রে আমি কয়েকবার বলার পরেও নিজেকে কোন পরিবর্তন করার চেষ্টা করেনি। এক্ষেত্রে উনাকে ভুল ধরিয়ে দিলে কোন কর্ণপাত করার চেষ্টা করেনা, এড়িয়ে চলে। তার যেটা ভালো মনে করে সেটাই করে। এক্ষেত্রে আমার কি করণীয়? প্রশ্ন- ৩ঃ পরিবারে এরকম সদস্য যে ইসলাম ঠিকমত পালন করে না বা ভুল করলে বলার পরেও সংশোধন করেনা। তাকে কতটুকু/ কতবার নসীহত করার পর নিজেকে দায়মুক্ত মনে করা যায়? সেসব সদস্য যদি স্বাবলম্বী না হয় তাদেরকে কি ভরণ পোষণ দেয়া যায়েজ বা ভরণ পোষণ দিলে কি গুনাহগার হবো?

উত্তর

দেখুন, আপনার বোন যে ইসলামী বিধান অনুযায়ী চলে না, তা কিন্তু একদিনে সৃষ্টি হয় নি। ছোট থেকে এভাবে চলতে চলতে এমন হয়েছে। সুতরাং এখন আপনারা বলার পর যদি না মানে সে জন্য শুধু তাকে দায়ী করা অন্যায়। ভাই হিসেবে আপনি দায়-মুক্তি পেলেও আপনার বাব-মা তাকে ইসলামী শিক্ষা না দেয়ার কারণে অপরাধী সাব্যস্ত হবেন। আপনার বাবার উচিৎ তাকে চাপ দিয়ে পরিপূর্ণ ইসলামের মধ্যে নিয়ে আসা। বাবা বেঁচে থাক অবস্থায় বোনের উপর ভাইয়ের তেমন কোন কর্তৃত্ব থাকে না, সুতরাং ব্যবস্থা আপনার পিতাকেই নিতে হবে। ২। আপনিার করণীও হলো সময়-সুযোগ পেলেই বিষয়টি তাকে বলা। তবে তিনি বিরক্ত হবেন এমন পরিবেশে নসিহত করতে যাবেন না। ৩। সাবলম্বী না হলে তার ভরণপোষণ দিতে হবে, তবে কৌশল হিসেবে ভরণ পোষন বন্ধ করে দিবেন, এরকম বলে ভয় দেখিয়ে তাকে সঠিক পথে আনার চেষ্টা করতে পারেন।