As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 4218

ঈমান

প্রকাশকাল: 17 Aug 2017

প্রশ্ন

আসসালামুআলাইকু, আমার কুরআন নিয়ে মাঝে মাঝে মনে প্রশ্ন আসে। কুরআনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক আয়াত যেমন বিগব্যাং,পানি চক্র সহ আরো অনেক কিছু সম্পর্কে বলা হয়েছে। কিন্তু পৃথিবিতে মানুষ এসেছে কোটিকোটি বছর আগে। হতে পারে যে আগেকার মানুষেরা অনেক জ্ঞানী ছিল,তারা হয়ত কুরআনের এসব বিজ্ঞান সম্পর্কে জানত, হয়ত তাদের কোন বই ছিল বিজ্ঞান বিষয়ে, যেমন সুরা গাফিরের ৮২ নম্বর আয়াতে এ তাদের কথা বলা হয়েছে। নবি যেহেতু নিরক্ষর ছিল,সুতরাং হয়ত অন্য কেউ আগেকার মানুষদের লিখিত বই থেকে বিজ্ঞান বিষয়ক আয়াত গুলো জেনে কুরআনে লিখে রেখেছে। এই বিষয়ে আমাকে দয়া করে জানাবেন। আর কুরআনকে এভাবে যাচাই করলে কি আমার কোন প্রকার গুণাহ হচ্ছে?

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। হয়ত অন্য কেউ আগেকার মানুষদের লিখিত বই থেকে বিজ্ঞান বিষয়ক আয়াত গুলো জেনে কুরআনে লিখে রেখেছে এই বিশ্বাস কারো থাকলে সে মুসলিম থাকবে না। কুরআনে বার বার আল্লাহ বলেছেন, আল্লাহ কুরআন নাযিল করেছেন। আর কুরআন তো লিখিত আকারে আসে নি। জিবরাইল আ. রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে কুরআনের কিছু অংশ নিয়ে আসতেন আর রাসূলুল্লাহ সা. তা মুখস্থ করে নিতেন। আল্লাহ তায়ালা রাসূলুল্লাহ সা. যথাযথ রূপে মুখস্ত করার শক্তি দান করেছিলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ সা. সেটা কাউকে দিয়ে লেখাতেন। সুতরাং কুরআনে বাইরের কেউ কিছ লিখে রেখেছে, এ রকম বিশ্বাস করা কুফুরী। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُ ۥلَحَٰفِظُونَ নিশ্চয় আমরা কুরআন নাযিল করেছি, আর আমরা স্বয়ং তার হিফাযত-কারী। সূরা আল-হিজর, আয়াত: ৯। সুতরাং কুরআনে যেমন অন্য কোন মানুষের কথা নেই, তেমনি ভবিষ্যতেও কোন মানুষের কথা কুরআনে আসতে পারবে না।আরবী ভাষায় পারদর্ষী হয়ে শিক্ষকের সহযোগিতায় কুরআন-সুন্নাহ গবেষণা করতে হবে। নিজে নিজে ইসলামের কোন বিষয়ে একটি ব্যাখ্য দাঁড় করানো ঈমান বিধ্বংসী।