আস-সালামু আলাইকুম ও রাহমাতুল্লাহ। হযরত আমার কয়টা প্রশ্নের উত্তর দিবেন দয়া করে –
১. আত্মীয় স্বজন একজন আর একজনের সাথে যোগাযোগ করলে কি ছোট হয়ে যাওয়া হয়?
বিশেষ করে ছেলের বাবা মা যদি; ছেলের বউয়ের বাবা মায়ের সাথে যোগাযোগ (ফোনে) করে। এতে কি ছেলের বাবা মায়ের মান সম্মান হানি হয় / তাহারা ছোটো হয়ে যায়?
এবং কোরআন ও হাদিসে কোথাও কি লিখা (নিয়ম) আছে যে শুধু মেয়েদের বাবা মারা ছেলের বাবা মায়ের সাথে (ফোন)/ যোগাযোগ করবে? বা আগে মেয়ের বাবা মা ছেলের বাবা মায়ের সাথে যোগাযোগ করবে; তার পর ছেলের বাবা মা মেয়ের বাবা-মা সাথে যোগাযোগ করবে?
এক জন বাবা তার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে কি ছেলে / ছেলের বাবা মায়ের কাছে আজীবন জিম্মি হয়ে থাকতে হয়/ হবে?
আত্মীয়-স্বজন একজন একজনের বাড়িতে দেখতে গেলে রামজানে; কোরবানিতে; শীতের মৌসুমে; গরমের মৌসুমে –আম কাঁঠাল; শীতের রকমারি পিঠা; বুট মুরি; সেমাই চিনি; গরু ছাগল ইত্যাদি নেওয়াটা কি সুন্নাত? নাকি আমাদের সামাজিক একটা নিয়ম? নাকি দায়িত্ব? বিশেষ করে মেয়ের বাবা-মা এর ক্ষেত্রে? দয়া করে কোরআন ও হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা দিবেন।
২. আল্লাহ ও রাসূলের পরে বাবা মায়ের স্থান? সন্তান যতই অন্যায় করুক না কেন বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমার যোগ্য?
বাবা-মা যদি সন্তানদের ক্ষেত্রে নীতিগত বিচার যদি না করে বা প্রত্যেক সন্তানদেরকে সমান দৃষ্টিতে না দেখে। এটা কি বাবা মায়ের জন্য জায়েজ / না কি অন্যায়? যদি জায়েজ হয় বা অন্যায় হয়? কাল কেয়ামতের দিন আল্লাহ কি বাবা-মাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করবেন?
৩. দুনিয়াতে তো আমরা সবাই অস্থায়ী; দুনিয়াতে অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য এখন পর্যন্ত আমাদের কোন ঘর করা হয় নাই। ঘর করার উদ্দেশ্যে আমরা একজন থেকে ২.৫ শতাংশ জমি ক্রয় করি। ক্রয় বাবদ জমির মূল্যের তিন ভাগের এক ভাগ জমির মালিককে পরিশোধ করা হয়। বাকি দুই ভাগের টাকা পরিশোধ করতে গেলে/ পরিশোধ করতে চাইলে জমির মালিক স্বেচ্ছায় আমাদেরকে বলে বাকি টাকা আমাদের কাছে রাখার জন্য। কারণ তিনি টাকাটা খরচ করে ফেলবে বিদায় আমাদের কাছে রাখতে বলেন। এখন তো এই টাকাটা আমাদের কাছে আমানতস্বরূপ তাই নয় কি? আর আমরা তো দেনাদার। এখন কি এই টাকার যাকাত দিতে হবে আমাদেরকে?