আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ্ । আমি জনাব খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ)র একজন শ্রোতা,ভক্ত। আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুক। আমি জেদ্দা, সৌদি আরব থেকে বলছি। একটি ছোট ইলেকট্রনিক দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করি। দোকানটি আমার আপন চাচার। উনি দেশে গেছেন আমি একা কোনমতে সামলাচ্ছি। প্রতিদিন উনাকে হিসাব দিই । গত রমজানে উনি এখানে ছিলেন। দুজন মিলে ডিউটি করতাম। উনি জুমআর এবং ঈদের সালাত ছাড়া দৈনিক সালাত পড়েন না। গত রমজানে তারাবির সালাত শেষ করে দোকান খুলতে দেরি হওয়াতে তিনি বলেছিলেন তারাবি দুই বা চার রাকাআত পড়ে চলে আসতে । না পড়লেও নাকি গুনাহ নেই কারণ তারাবির সালাত সুন্নাত। আমিও বাধ্য হয়ে তাই করতাম। আলহামদুলিল্লাহ এবারের রমজানে তিনি বাংলাদেশে সফরে গেছেন। ভেবেছিলাম এই বছর রমজানে আমার সৌভাগ্য প্রতিদিন তারাবি পুরোটা পড়তে পারবো!
আজ রাতে তারাবি পড়া হবে ইনশাআল্লাহ কিন্তু এখন আমার খুব কান্না পাচ্ছে৷ তিনি whats app এ আমাকে অগ্রীম ভয়েস পাঠিয়ে রেখেছেন যেন এশারের সালাহ্ শেষ করেই দোকান খুলে দিই। তারাবি পড়ার দরকার নেই । সুন্নাত তাই না পড়লে গুনাহ হবেনা। আর ব্যবসা করা তারাবির সালাতের চেয়ে জরুরি । উনার অধীনস্থ হিসেবে কিছু বলতে পারিনি । মনে প্রচুর কষ্ট পেয়েছি !
আমি খুব চাই আল্লাহ আমাকে এখান থেকে মুক্তি দান করুক । পালিয়ে যেতে চাইতাম কিন্তু আমরা গ্রামে একইসাথে থাকি এবং আমার বাবার তেমন সামর্থ নেই তিনি অনেকটা চাচার উপরই নির্ভর করেন। আর আমি এখানে আসার যাবতীয় খরচ আমার চাচা বহন করেছে বিধায় আমি উনার নিকট দায়বদ্ধ। উনার দোকানে কাজ করে সেগুলো পরিশোধ করতে হবে । হয়তো আরো অনেকদিন কাজ করতে হবে তা পরিশোধ করতে হবে। এখন আমি কি করবো? আমি কি তারাবির সালাত পড়বো নাকি এশার নামাজ পড়েই দোকান খুলবো?