As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 3426

শিরক-বিদআত

প্রকাশকাল: 17 Jun 2015

প্রশ্ন

ASSAlamualaikum। আমাকে একজন ইদুমিল্লাদুনবী এর দলিল দিছে নিচে দিচ্ছি । এটা কত খাণি সত্য। জানালে উপকৃত হব। নিচের দলিল ঈদ অর্থ খুশি/আনন্দ উদযাপন করা। মিলাদুন্নবী অর্থ হুজুর সাঃ এর জন্ম। ঈদে মিলাদূন্নবী সাঃ মূল অর্থ হলো হুজুর সাঃ এর শুভাগমনে খুশি ও আনন্দ উদযাপন করা। এবার দেখি কুরানে ঈদে মিলাদুন্নবী সাঃ পালন করার হুকুম আছে নাকি। # পবিত্র সূরা ইউনুসের ৫৮ নং আ্য়াতই হচ্ছে ঈদে মীলাদুন নবীর দলিল। সুরা ইউনুস ১১ পারা ৫৮ নং আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেনঃ- ﻗُﻞْ ﺑِﻔَﻀْﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺮَﺣْﻤَﺘِﻪِ ﻓَﺒِﺬَﻟِﻚَ ﻓَﻠْﻴَﻔْﺮَﺣُﻮﺍ ﻫُﻮَ ﺧَﻴْﺮٌ ﻣِﻤَّﺎ ﻳَﺠْﻤَﻌُﻮﻥَ হে হাবিব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি বলে দিন,মুসলমানগণ যেন আল্লার নেয়ামত ও রহমত পাওয়ার কারনে যেন খুশি প্রকাশ করে,যা তাদের যাবতীয় বস্তু হতে উত্তম হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু)এ আয়াতের তাফসীরে বলেন এখানে আল্লাহর অনুগ্রহ (ফাদ্বলুল্লাহ) দ্বারা ইলমে দ্বীন বুঝানো হয়েছে আর (রহমত) দ্বারা সরকারে দুআলম নূরে মোজাসসাম আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বুঝানো হয়েছে। (সূত্রঃ সূরা আম্বিয়া আয়াত নং- ১০৭, তাফসীরে রুহুল মায়ানী, তাফসীরে কবির ও ইমাম সূয়ূতী কৃত তাফসীরই আদ দুর রুল মুনছুর, ৪র্থ খন্ড- ৩৬ পৃষ্ঠায় ও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন)। # আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি। (সূরা আম্বিয়াঃ ১০৭)
তিনি সমস্ত মানব জাতির জন্য রহমত স্বরূপ, বিভিন্ন রঙ, ভাষা, দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাভাবনা, আক্বিদা ও স্থানের ভেদাভেদের উর্ধ্বে তিনি সকলের জন্য রহমত। মহান আল্লা পাক যেখানে সয়ং রাসূল সাঃ কে সারা জাহানের জন্যে রহমত সরূপ প্রেরন করেছেন আর পবিত্র কোরানে ঘোষনা করেছেন যে তোমরা খোদার রহমত প্রাপ্তি তে খুশি(ঈদ) উদযাপন করো। যেহেতু রাসূল সাঃ ই সকল রহমতের রহমত সেহেতু ঈদে মিলাদুন্নবী সাঃ পালন করা মহান আল্লাহর বানী পবিত্র কোরান থেকে প্রমাণিত। রাসুল সাঃ এর আগমনে শুধু শয়তানই কেঁদেছিল। তাই যারা শয়তানের অনুসারি তারাই ঈদে মিলাদুন্নবী সাঃ এর বিরূদিতা করেন। সয়ং আল্লাহ ও ফেরেস্তাসহ সবাই সেদিন খুশি উদযাপন করেছিলেন। তাই আমরাও দয়াল নবীর আগমনে খুশি(ঈদ) উদযাপন করি। আলহামদুলিল্লাহ।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। খুশি উদযাপন করতে তো সমস্যা নেই। দেখতে হবে রাসূলুল্লাহ সা. এর যুগে অথবা সাহাবীদের যুগে সাহাবীরা এভাবে খুশি প্রকাশ করেছেন কি না? তাবেয়ীদের যুগে এভাবে তারা খুশি উদযাপন করেছেন কি না? তারা তো এভাবে করেন নি। কারো জন্মদিন পালন সাহাবীদের থেকে প্রমাণিত নয়। যদি এটা ফজিলতের কাজ হতো তাহলে সাহাবীরা সবার আগে সেটা করতেন, যেহেতু তারা এগুলো করেন নি সুতরাং এগুলো অবশ্য বর্জনীয়। যে দলীল তারা দিয়েছেন সেগুলো এক্ষেত্রে এটা গ্রহনযোগ্য নয়। আর রাসূলুল্লাহ সা. এর জন্মদিন কবে সেটা নিয়ে একমত হওয়া যায় নি। বরং ১২ রবিউল যে মৃত্যু দিবস এই বিষয়ে সবাই একমত।যদি পালন করতেই হয় তাহলে মৃত্যু দিবস পালন করাটাই যুক্তিযুক্ত, জন্ম দিবস নয়। তবে জন্ম বা মৃত্যু কোন দিবসই পালন করা ইসলামসম্মত নয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।