আসসালামু আলাইকুম। আমি একজন ছেলেকে পছন্দ করি। উনি ও আমাকে পছন্দ করেন। আমরা হারাম সম্পর্কে জড়িয়ে গেছি। কোন ভাবেই এ সম্পর্ক থেকে বের হওয়া আমদের সম্ভব হচ্ছে না। তাই, আমরা দুজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। পরিবারকেও জানাই। আমাদের কারো পরিবারের কেউই প্রথমে রাজি না হলেও পরবর্তীতে আমাদের জোরাজুরি তে রাজি হয়(বাধ্য হয়ে, ওরা মন থেকে মেনে নেয় নি তখনো)। কিন্তু তারা শর্ত দেয় যে আমাদের পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর ছেলে যখন চাকরি করবে তখন বিয়ে দিবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ওর পড়াশোনা শেষ করে কখন চাকরি হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই আমরা চেয়েছিলাম বিয়ে করে নিতে এবং ওর চাকরি পাওয়ার পর ও আমাকে ওর ঘরে তুলে নিবে বলেছিলো। কিন্তু এতে তারা কেউই রাজি হয় নি। উপরন্তু আমার পরিবার আর ওর পরিবার আমাদেরকে বিয়ের পূর্বে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার মত দিয়েছিলো, কিন্তু বিয়ের জন্য কোনভাবেই রাজি হয় নি। আর আমরা বিয়ের জন্য বেশি প্রেসার করেছিলাম তাদেরকে। এ জন্য তারা রাগ করে আমাদেরকে না করে দেয় যে আমাদের বিয়ে তারা কখনো মেনে নিবে না। তারা আমাদের উপর এ কারণে রাগ করেছে যে আমরা একটা হারাম সম্পর্ক থেকে বাচতে চেয়েছিলাম, দুজন বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা আমদেরকে এ ব্যাপারে কোন সাহায্য না করেই হারাম সম্পর্কে চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছিল( উল্লেখ্য আমরা শুধু ফোনেই যোগাযোগ রাখি)। এক পর্যায়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে আমরা নিজেরাই বিয়ে করবো। কিন্তু, ইসলামে মেয়ের অভিভাবক ছাড়া বিবাহ শুদ্ধ হয় না। এজন্য আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন যে আমার বাবা একটা হারাম সম্পর্ক রাখার ব্যাপারে মত দিয়েও কি তিনি আমার অভিভাবক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন?! আর তিনি পাচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত আদায় করেন না। চার ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। আলহামদুলিল্লাহ তিনি ইসলাম সম্পর্কে মোটামোট জানেন, এবং বিয়ের পুর্বে সম্পর্ক যে হারাম তাও জানেন(কিন্তু তারপর ও বিয়ে দিতে রাজি হন নি)। আমার এক আপন মামা কে উনি আমার সব দায়িত্ব দিয়েছেন ( যেহেতু আমার বাবা এখন অসুস্থ)। মামাও এই বিয়েতে রাজি না। তিনি শুধু শুক্রবার আর রমজান মাসে নামাজ পড়েন। আমার এক আপন চাচা আছেন উনারও একই অবস্থা। আমার কোন আপন ভাই নেই, আমার দাদা ও মারা গেছেন। এসব কিছু বললাম এ কারণে যে এখন আমার অভিভাবক কি উনারাই হবেন? আমি কি এখন কোন হুজুরের কাছে গিয়ে উনাদেরকে না জানিয়ে বিয়ে করতে পারবো? আমি পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, ইসলামের অন্যান্য হুকুম- আহকাম মেনে চলার চেষ্টা করি, পর্দা করি। আমি যাকে বিয়ে করতে চাই উনিও পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। আমি সব পাপ থেকে বেচে থাকতে পারলেও এই সম্পর্ক থেকে কোন ভাবেই বাচতে পারছি না। বিয়ে ছাড়া আর কোন সমাধান আমার কাছে নাই। কিন্ত উনার চাকরি পাওয়ার পূর্বে পরিবারেও এখন আর জানিয়ে লাভ হবে না। আবার এই হারাম সম্পর্কে থেকে ফিরতেও পারছি না, দিন দিন আরো খারাপ হচ্ছে আমার ঈমান- আমলের অবস্থা। প্লিজ আমাকে কোন সমাধান দিন। আমি কি পরিবার কে না জানিয়ে কোন কাজীর অধীনে বিবাহ করতে পারবো? করলে সেটা কি জায়েজ হবে?