এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর চাই, অনুগ্রহ পূর্বক বিস্তারিত ভাবে উত্তর দিবেন
আমি যতদূর জানি, মাদ্রাসার ফাজেল (বি.এ) ক্লাশ থেকে শুরু করে কামেল (এম.এ) পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে জুমার নামাযের প্রথম শর্ত হিসাবেই বলা হয়েছে যে, ইসলামী রাষ্ট্রের খলিফা বা তার প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকলে জুমা বৈধ হবে না। সেখানে আরও বলা আছে, যে এলাকায় ইসলামের শাসন কায়েম আছে সেখানেই জুমা পড়তে হবে। এবং শরীয়াহ মোতাবেক যে কোন দণ্ড প্রয়োগ করার ক্ষমতাধারী ব্যক্তিরাই জুমার নামাযের ইমামতি করার অধিকার রাখেন। যারা এ কথার সমালোচনা করেন তাদেরকে অনুরোধ করব তারা যেন ফেকাহর যেকোন গ্রন্থ, যেমন- হেদায়াহ (১ম খণ্ড জুমা অধ্যায়, পৃঃ ১৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ), ফেকাহ ই কুদুরি, কাজী খান, মুহিত এ সুরুক্সি থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষার যে কোন বই পড়ে দেখেন। . অথচ বিশ্বের সর্বত্র মসজিদের ইমামরা মসজিদ কমিটির দুই পয়সার কেনা গোলাম বৈ কিছু নয়, যদিও তারাই আবার জুমার নামাযের ইমামতি করেন। মাদ্রাসায় লেখা পড়া করার সুবাদে তারা খুব ভালো করেই অবগত আছেন যে, তাদের জুমা তো দুরের কথা ওয়াক্তিয়া নামাযের ইমামতি করানোরও কোন যোগ্যতাও নেই। কারণ ইমাম শব্দের অর্থই হচ্ছে নেতা বা শাসক। অথচ এই সব দুই পয়সার মোল্লারাই ইমাম সেজে মসজিদ কমিটির সুদখোর, ঘুষখোর নেতা সাহেবদের কাছে চাকরী বাচানোর জন্য সদা সর্বদা কাচুমাচু হয়ে থাকেন। ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী কোন দণ্ড দেওয়া দূরে থাক, একটা টিকটিকির মুন্ডুপাত করার ক্ষমতাও কি এরা রাখেন? . জুমা এবং ঈদের নামাযের যে শর্তগুলো দেওয়া আছে তা না থাকলে জুমা এবং ঈদের নামায যে সহীহ্ হয় না এ ব্যাপারে তারা ভালো করেই জানেন। তাই তারা জুমার দিনে স্বতন্ত্রভাবে ফরজের পরে চার রাকাত এহতিয়াতুয যোহর পড়েন। অর্থাৎ পাছে জুমা কবুল না হয় এই সন্দেহে তারা গোপনে এহতিয়াতুয যোহর পড়েন। এহেন কর্ম করে একই সাথে তারা আল্লাহ এবং সরলপ্রাণ মুলমানদের সাথে ধোঁকাবাজি করে চলছেন। এর প্রমাণ স্বরূপ বলা যায়, তাদের অনুসরণীয় আলেম হাকীমুল উম্মত হিসাবে পরিচিত মাওলানা আশরাফ আলী থনভীর মাসআলা মাসায়েলের বই বেহেশতী জেওরের ২য় খণ্ডের জুমা অধ্যায়ের ২৫৮-২৫৯ পৃষ্ঠার ৬ নং মাসলায় বলা হয়েছে যদি কোন আলেম সন্দেহ বশতঃ জুমার পর এহতিয়াতুয যোহর (আখেরী যোহর) পড়িতে চায়, তবে এইরূপে পড়িবে যেন কেহ জানিতে না পারে। এখানে আমার প্রশ্ন, জুমার মত ইসলামের অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সাধারণ মুসলমানদেরকে জানতে না দিয়ে তা গোপন করার উদ্দেশ্য কী? যাইহোক, সন্দেহ নেই যে ফিকাহ বইগুলিতে জুমআর ব্যাপারে যে মাসআলাগুলি লেখা আছে তা সত্য কিন্তু এ সত্যগুলি এখন বইয়ে রেখে লাভ কী? সব জায়গায় তো মিথ্যার জয়জয়াকার, কাজেই বই থেকেও সত্যগুলি উঠিয়ে কিছুটা আধুনিক(!) করা যায় না? (যেহেতু সত্যগুলি ইমাম সাহেবরাই মানছেন না, অহেতুক আমাদের মাঝে বিতর্ক রেখে লাভ কী?)