সাহাবীগণ যেভাবে করেছেন সেটাই ইসলামে নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি। যদি পূর্ববর্তী খলীফা ভাল মনে করেন তাহলে পরবর্তী খলিফার নাম ঘোষনা করে যেতে পারেন। যেভাবে ওমর রা.কে আবু বকর রা. নির্বাচন করেছেন। আবার জনগনের মতামত নিয়েও হতে পারে, যেমন আবু বকর রা. এভাবে খলিফা হয়েছেন। কুরআনে সাহাবীদের প্রশংসা করা হয়েছে এবং বহু হাদীসে সাহাবীদের পথকে অনুস্বরণ করতে বলা হয়েছে, সাহাবীগণ যা করেছেনে সেটাই ইসলাম। রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, فعليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين عضوا عليها بالنواجذ তোমাদের উপর আমার সুন্নাত এবং খুলাফায়ের রাশেদার সুন্নাত অনুস্বরণ কর, তাদের সুন্নাতকে দাঁত দিয়ে আঁকড়ে ধর। সুনানু তিরমিযী,হাদীস নং ২৬৭৬। হাদীসটি সহীহ। সুতরাং সাহাবীগণ যে কাজ করছেন তা ইসলাম সম্মত হয়েছে কি না এমন প্রশ্ন করা থেকে মুসলিমদের বিরত থাকা আবশ্যক। নয়তো ঈমান হারা হওয়ার আশংকা আছে। জনগনের মতামত নেয়ার অর্থ এই নয় যে, সারা দেশের সব মানুষের ভোট নিয়ে যার ভাগে বেশী হয় সে হবে। খারাপ মানুষও এভাবে খলীফা হয়ে যেতে পারে। বরং ভাল মানুষদের মধ্য থেকে একজনকে খলীফা হিসেবে বেছে নিতে জনগত তাদের পরামর্শ দিবে। সেক্ষেত্রে জনগনের প্রত্যেকের মতামত নাও নেওয়া হতে পারে। আবার পূর্ববর্তী খলীফাও পরবর্তী খলীফা নির্বাচন করতে পারে। সরকারী দল, বিরোধী দল এগুলো ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থাতে নেই।