ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আকীকা ছোট পশু অর্থাৎ ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দিয়ে দেয়া সুন্নাত। বড় পশু তথা গরু, মহিষ বা উট দিয়ে দেয়া সুন্নাত নয়। কুরবাণী ও আক্বীকা একই পশু দ্বারা দেয়া জায়েজ আছে কিনা তা নিয়ে মতভেদ আছে। একদল আলেম বলেন,জায়েজ আছে অন্য অরেক দল বলেন জায়েজ নেই। যারা বলেন জায়েজ আছে তাদের বক্তব্যের মূল ভিত্তি হলো, কুরআনের একটি আয়াত। তা হলো, قُلْ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ অর্থ: আপনি বলুন, নিশ্চয় আমার সালাত, আমার নুসুক আমার জীবন, আমার মরন সবই বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহরা জন্য। সূরা আন-য়াম, আয়তা ১৬২। উক্ত আয়াতে নুসুক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। আভিধানিক অর্থে নুসুক বলা হয় এমন পশুকে যা আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের জন্য জবেহ করা হয়। দেখুন, আল-মুজামুল ওয়াসীত, পৃষ্ঠা ৯৫৭। আর কুরবানী ও আক্বীকা উভয়টি দ্বারাই যেহেতু আল্লাহ তায়ালা নৈকট্য লাভ উদ্দেশ্য তাই একই পশুতে কুরবানী ও আক্বীকা করা জায়েজ হবে। উল্লেখ্য হানাফী ও শাফেয়ী মাজহাবের আলেমগন এটাকে জায়েজ বলেছেন। একদল আলেম বলেছেন, গরু দ্বারা আকীকা দিলে দিলে তাতে সাতটি ভাগ হবে। সুতরাং একাধিক ছেলে বা মেয়ে তাতে শরীক হতে পারবে। তবে অনেক বলেছেন, গরু দিলেও তা মাত্র একজনের আককীর জন্য দিতে হবে। তবে সর্বাবস্থায় মনে রাখতে হবে আকীকা ছাগল বা এ জাতীয় ছোট পশু দিয়ে দেয়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সা. কিংবা সাহাবীগণ গরু বা উট দিয়ে কখনো আকীকা দেন নি। আমাদের উচিৎ সুন্নাতের অনুসরন করা।