আসসালামু আলাইকুম। মুহতারাম,
১) কিছু সংখ্যক আলেমের মতে মানসুর হাল্লাজ ওলী ছিলেন, কিছু সংখ্যক আলেমের মতে, তিনি ওলী ছিলেননা। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মানসুর হাল্লাজ ওলী ছিলেন এই বিশ্বাস পোষণকারী ব্যক্তি যদি আমার বাড়ির সবচেয়ে নিকটবর্তী মসজিদের ইমাম হয়, তাহলে কী তার ইমামতিতে নামাজ পড়ব, নাকি (ফেতনা এড়িয়ে, সমালোচনা না করে) পরবর্তী নিকটবর্তী মসজিদের ইমামের পিছনে (যার বিশ্বাস, মানসুর হাল্লাজ ওলী ছিলেননা) নামাজ পড়ব? (কোন বিতর্কের উদ্রেক করা বা কাঊকে ছোটো করা এ প্রশ্নটির উদ্দেশ্য নয়। আবার কোনও ব্যক্তির ওলী হওয়া বা না হওয়ার বিশ্বাস পোষণকারী ব্যক্তির পিছনে নামায হওয়া বা না হওয়ার প্রশ্নটি বাহ্যত অবান্তর মনে হতে পারে কিন্তু একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে বিষয়টি কথিত ব্যক্তির উপরই সীমাবদ্ধ থাকেনা বরং ঐ ব্যক্তির কাজ যদি শিরকী/কুফরী হয়ে থাকে, তবে তাকে ওলী হিসেবে বিশ্বাস করার মাধ্যমে মুলতঃ ঐ শিরকী/কুফরী কাজকেই ইবাদাত অথবা নেকির কাজ মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমার আশঙ্কা কোন বিশ্বাসে বিশ্বাসী ইমামের পিছনে নামায হবে। )
২) যদি কেউ যোহরের প্রথম চার রাকআত সুন্নত সালাত না পড়ে মসজিদে প্রবেশ করেই দেখে যে, সুন্নাত সালাত পড়ার আর সময় নেই, চার রাকআত ফরয সালাত শুরু হয়ে যাচ্ছে, এমতাবস্থায় কী সে ঐ চার রাকআত ফরয সালাত শেষ করার পরপরই বাদ পরা চার রাকআত সুন্নাত সালাত পড়বে, না চার রাকআত ফরয সালাতের পর নির্ধারিত দুই রাকাআত সুন্নাত সালাত পড়ার পর বাদ পরা চার রাকআত সুন্নাত সালাত পড়বে?