As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 2557

নামায

প্রকাশকাল: 29 Jan 2013

প্রশ্ন

আসসালামুয়ালাইকুম
(১) জামাতে নামাজের সময় ইমাম এর তাকবির এর সাথে কি তাকবির দিতে হবে। (ইমাম যতবার আল্লাহু আকবার বলে তারসাথে কি প্রতিবার আল্লাহু আকবার বলতে হবে? যখন সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা বলে, তখন কি সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা বলতে হবে না কি রাব্বানা লা কাল হামদ বললে হবে? নাকি পুরাটা বলতেহবে সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা রাব্বানা লা কাল হামদ)
(২) ৪ রাকাত বিশিষ্ট সুন্নাত নামাজে যদি ভুল বসত একটি সুরা একাধিক বার পরা হয় তা হলে কি সাহু সিজদা করতে হবে? (যেমনঃ সুরা ইখলাস ২য় ও ৪র্থ রাকাতে পরে ফেললে। )
(৩) ৪ রাকাত বিশিষ্ট নামাজে ১ম তাসাহুদে আত্তাহিয়াতু এর সাথে দুরুদ শরিফ পরে ফেললে কি সাহু সিজদা করতে হবে?
(৪) শেষ তাসাহুদে আত্তাহিয়াতুর সময় আঙ্গুল নাড়াতে হবে নাকি আত্তাহিয়াতু, দুরুদ শরি্ দুয়া মাসুরা, এবং অনন্যা দুয়ার সময় আঙ্গুল নাড়াতে হবে? (একটু ব্যাখ্যা করলে ভাল হয়)। প্রথম তাসাহুদে আত্তাহিয়াতুর সময় আঙ্গুল নাড়ানোর বিধান কি?

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। তাকবীরে তাহরীমা ফরজ। অর্থাৎ যে তাকবীর দিয়ে নামায শুরু হয় সেটা ফরজ। বাকীগুলো সুন্নাত। দেয়াই উত্তম। عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا ، وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا ، وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ، وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا ، وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعُونَ আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ইমাম নির্ধারণ করা হয়েছে তাকে অনুসরণ করার জন্য… যখন তিনি সামিয়াল্লাহুলিমান হামিদাহ বলবেন তখন তোমরা রব্বানা ও লাকাল হামদ বলবে…। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৩৪। সুতরাং মুক্তাদিরা শুধু রব্বানা ও লাকাল হামদ বলবে। ২। না, সাহু সাজদা ওয়াজিব হবে না। ৩। হ্যাঁ, সাহু সাজদা ওয়াজিব হব। ৪। সাহাবী ওয়াইল ইবনে হুযর বলেন, عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ ، قَالَ : رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ قَدْ حَلَّقَ الإِبْهَامَ وَالْوُسْطَى ، وَرَفَعَ الَّتِي تَلِيهِمَا ، يَدْعُو بِهَا فِي التَّشَهُّدِ আমি রাসূলূল্লাহ সা. কে দেখেছি, তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি ও মধ্যমা আঙ্গুলি এক সাথে করে গোলাকার করলেন এবং ঐ দুই আঙ্গুলির সাথে যুক্ত আঙ্গুলিটি (শাহাদাৎ আঙ্গুলি) উচুঁ করলেন এবং তা দ্বারা তাশাহুদের মধ্যে দোয়া করলেন। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৯১২। হাদীসটি সহীহ। সহীহ মুসলিমসহ বিভিন্ন কিতাবে এমন অর্থের অনেক হাদীস বহু সাহাবী থেকে বর্ণিত আছে। কোন কোন হাদীসে আঙ্গুলনাড়ানো বা নাড়ানোর কথা আছে। এর মধ্যে না নাড়ানোর হাদীসটি সহীহ বলে মনে হয়। হাদীসটি আছে সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ৯৮৯, সুনানু নাসায়ী,হাদীস নং ১২৭০্ । মোট কথা ইশারা করার কথা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত, তবে কখন থেকে ইশারা শুরু করবে, কিভাবে করবে সে ব্যাপারে সর্বাক্যমতে সহীহ কোন দলীল পাওয়া যায় না, এ কারণে ইশারার ধরন নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতভেদ আছে। সুতরাং যেভাবেই করুন আপনার ইশারার সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। উভয় বৈঠকের হুকুম একই ।