As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 2026

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক

প্রকাশকাল: 17 Aug 2011

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম, হঠাৎ করেই কোরবানি ঈদ এর পর থেকে আমার খুব চুল পড়ছে (খুব অস্বাভাবিক ভাবে ) সাথে খুব কাশি,ওষুধ + তুলসী আদা+++ এসব খেয়েও কিছু হচ্ছে না,শরীর খুব ভারী লাগে, শরীর ম্যাজম্যাজ করে জ্বর জ্বর লাগে কিন্তু জ্বর বোঝা যায় না,শরীর ব্যাথা থাকে, মেজাজ খুব খিটমিটে লাগে। দেখে মনের হয় সুস্থ কিন্তু আমি ভিতরে ভিতরে সিক ফীল করি। আর এবাদত-এ মনোযোগ রাখতেই পারি না,খুব কষ্ট করে হয়তো মনোযোগ আনি আবার কি সব অদ্ভত খারাপ কথা যে মনে আসে, আমি রাতে ঘুমানোর আগে সূরা মূলক,আয়তাল কুরসী,সূরা বাকারা ২৮৫,২৮৬,৩ কুল,হেফাজত এর দুআ,সূরা কাফিরুন এগুলা আলহামদুলিল্লাহ পরেই ঘুমাই। তবু প্রতি রাতে স্বপ্ন দেখি,মাঝে মাঝে স্বাভাবিক স্বপ্ন,মাঝে মাঝে ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখি,সব মনেও থাকে না। অবশ্য ম্যাক্সিমাম স্বপ্ন দেখি ফজর নামাজ পরে সকালে যখন ঘুমাই। ঈদ-এ শশুর বাড়ি থেকে আসার সপ্তাহ খানেক পর আমার স্বামী আমার সায়াও সহ্য করতে পারতো না, এখন আলহামদুলিল্লাহ কিছুটা সহনীয়। তবে সে ইদানিং আলাদা রুম-এ ঘুমায়, বিয়ের ৬ বছর-এ সে এটা কখনো করে নি, অবশ্য সে একদিন বলছিলো তার ঠান্ডা লাগছে,বাবুর যেন ভাইরাস না লাগে তাই। ছেলেটাও খুব খিটমিটে হয়ে গেছে। এসব সমস্যার কি কারণ হতে পারে, আর তার সমাধান কি?
প্লিজ আমাদের জন্যে দুআ করবেন আল্লাহ যেন এই সব বিপদ থেকে উদ্ধার করেন এবং গুনাহ মাফ করে দেন। আমার পরিবার-এ ডাক্তার আছে কিন্তু কোনো আলেম নেই,এই সব সম্যসায় পড়লে কাওকে বোঝানোও যায় না, নিজেও ঠিক বুঝে উঠতে পারি না কি করা উচিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, জাজাকাল্লাহু

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। রাত্রে একটু তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে ফজরের পর আর ঘুমাবেন না, তাহলে স্বপ্ন সমস্যার সমাধান হবে। কারণ ফজরের পর কাজের সময়, ঘুমের সময় নয়। তাই এই সময় ঘুমালে অনেকেরই এমন সমস্যা হয়। ফজরের না ঘুমালে আরো একটি সমস্যার সমাধান হবে, সেটা হলো আপনার প্রতি স্বামীর মনোভাব। স্বামী কাজ করবে আর স্ত্রী ফজরের পর ঘুমাবে সেটা অধিকাংশ রক্তে-মাংসে গড়া স্বামীর পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব। সুতরাং ফজরের পর বাড়ির কাজ শুরু করুন দেখবেন স্বামী আপনাকে আরো ভাল চোখে দেখবে। ছোট বাচ্চার খিটমিটে হওয়ার কিছু নেই। ওরা এমনই হয়। শেষে বলি স্বামী হৃদয়ের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করুন, তার ভাল লাগা কাজগুলো করুন, যে কাজে বিরক্ত হয় তা এড়িয়ে চলুন। আল্লাহ আপনাদের ভাল রাখুন।