As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 198

নামায

প্রকাশকাল: 15 Aug 2006

প্রশ্ন

আসসালামুয়ালিকুম। আমার প্রস্নঃ বাজারে আহ্ লে হাদিসের প্রতি ওপেন চেলেঞ্জ নামে একটি বই পাওয়া যায়। তাতে এক্ টা হাদিসের উদ্রিতি দেয়া আছেঃ জাবের ইবনে সামুরা (রা) থেকে বরনিত, রাসুল (সা) সাহাবা কেরামদের রাফাউল ইয়াদাঈন করতে দেখে বললেন, আমি তোমাদেরকে রাফাউল ইয়াদাঈন করতে দেখছি। মনে হচ্ছে যেন তোমাদের হাত গুলো দুস্ট ঘোড়ার লেজ এর মত। নামাজে শান্ত থাক। (মুসলিম) আমার প্রশ্নঃ এই হাদিস কি রুকু সিজদায় রাফাউল ইয়াদাঈন এর কথা বলা হয়েছে? না কি অন্ন কিছু?

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। সাহাবী জাবের ইবনে সামুরা রা. থেকে উক্ত হাদীসের কয়েকটি মতন (বর্ণনা ) রয়েছে। নিচে দুটি বর্ণনা দেওয়া হল। এখান থেকে বিষয়টি আমাদের জন্য স্পষ্ট হবে। ১। عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فَقَالَ ্র مَا لِى أَرَاكُمْ رَافِعِى أَيْدِيكُمْ كَأَنَّهَا أَذْنَابُ خَيْلٍ شُمْسٍ اسْكُنُوا فِى الصَّلاَةِ অর্থ: জাবের ইবনে সামুরা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. আমাদের কাছে আসলেন। এরপর বললেন, কি হলো, আমি তোমাদের দেখছি তোমরা দুষ্ট ঘোড়ার লেজের মত তোমাদের হাতগুলো উঠাচ্ছ, নামাযে শান্ত থাক। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৯৬। ২। عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فَكُنَّا إِذَا سَلَّمْنَا قُلْنَا بِأَيْدِينَا السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ فَنَظَرَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فَقَالَ ্র مَا شَأْنُكُمْ تُشِيرُونَ بِأَيْدِيكُمْ كَأَنَّهَا أَذْنَابُ خَيْلٍ شُمُسٍ إِذَا سَلَّمَ أَحَدُكُمْ فَلْيَلْتَفِتْ إِلَى صَاحِبِهِ وَلاَ يُومِئْ بِيَدِهِ অর্থ: জাবের ইবনে সামুরা রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা. এর সাথে নামায পড়ছিলাম। যখন আমরা সালাম ফিরালাম তখন আমরা আমাদের হাত দ্বারা ইশারা করে বললাম, আস-সালামু আলাইকুম, আস-সালামু আলাইকুম। তখন রাসূলুল্লাহ সা. আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, তোমাদের কি হল! হাত দ্বারা ইশারা করছ, যেন দুষ্ট ঘোড়ার লেজ। যখন তোমাদের কেউ সালাম ফিরাবে তখন তার পাশের লোকের দিকে তাকাবে, হাত দ্বারা ইশারা করবে না। সহীহ মুসলিম,হাদীস নং ৯৯৯। উপরুক্ত হাদীস দুটি দ্বারা স্পষ্ট যে, নামাযে সালাম ফিরানোর সময় সাহাবীরা হাত উঠাতেন আর রাসূলুল্লাহ সা. তা করতে নিষেধ করেছেন। তবে রুকু সিজদাহতে রাফউল ইয়াদাইন করা না করা উভয় ক্ষেত্রেই সহীহ হাদীস আছে। এই নিয়ে বিতর্ক ত্যাগ করা উচিত।