ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ১ ও ৫ । যাকাতের নিসাব স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভরি এবং রোপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন ভরি। অর্থাৎ কারো কাছে যদি শুধু স্বর্ণ থাকে তাহলে সাড়ে সাত ভরির কম হলে যাকাত ফরজ হবে না। তেমনি যদি কারো কাছে শুধু রোপা থাকে তাহলে সাড়ে বায়ান্ন ভরির কমে যাকাত ফরজ হবে ন। তবে যদি কারো কাছে স্বর্ণ ও রোপা উভয়টি থাকে তবে নিসাব পরিমান নয় কিন্তু টাকার হিসাবে সেগুলোর মোট মূল্য সাড়ে বায়ান্ন ভরি রোপার মূল্যের সমপরিমাণ হয় তাহলে অধিকাংশ আলেমের মতে তার উপর যাকাত ফরজ। এই বিষয়ে আল-ফিকহুল ইসলামিয়্যু ও আদিল্লাতুহু কিতাবের মধ্যে আছে:ويضم عند الجمهور (غير الشافعية ) أحد النقدين إلى الآخر في تكميل النصاب، فيضم الذهب إلى الفضة وبالعكس بالقيمة، অর্থ: শাফেয়ী মাজাহাবের আলেমগণ বাদে অধিকাংশ আলেমদের নিকটে যাকাতের নিসাব পূর্ণ করার ক্ষেত্রে একটি মুদ্রাকে আরেকটি মুদ্রার সাথে মিলাতে হবে। সুতরাং স্বর্ণকে রুপার সাথে মূল্যে হিসাবে মিলাতে হবে। আল-ফিকহুল ইসলামিয়্যু ও আদিল্লাতুহু ৩/১৮২। বিখ্যাত ফিকহী বিশ্বকোষ আলমাওসুয়াতুল ফিকহিয়্যাতুল কুয়েতিয়্যাহ এর আলেমগণ বলেছেন,ذَهَبَ الْجُمْهُورُ ( الْحَنَفِيَّةُ وَالْمَالِكِيَّةُ وَهُوَ رِوَايَةٌ عَنْ أَحْمَدَ وَقَوْل الثَّوْرِيِّ وَالأَْوْزَاعِيِّ ) إِلَى أَنَّ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ يُضَمُّ أَحَدُهُمَا إِلَى الآْخَرِ فِي تَكْمِيل النِّصَابِ
অধিকাংশ আলেমগণ এই মত পোষন করেছেন যে, যাকাতের নিসাব পূর্ণ করার ক্ষেত্রে স্বর্ণ-রোপ্যকে একে অপরের সাথে মিলাতে হবে। যারা এই মত পোষন করেছেন তাদের মধ্যে আছেন হানাফী ও মালেকী আলেমগন, সাওরী ও আওযায়ী রহ.। এবং ইমাম আহমাদ রহ. থেকেও এক বর্ণনায় তিনি এই মত পোষন করেছেন বলে জানা যায়। আলমাওসুয়াতুল ফিকহিয়্যাতুল কুয়েতিয়্যাহ ২৩/২৬৭। তদ্রুপ যদি কারো আছে নেসাবের চেয়ে কম স্বর্ণ কিংবা রোপা থাকে সাথে টাকা থাকে আর টাকার হিসাবে সেগুলোর মোট মূল্য যদি সাড়ে বায়ান্ন তোলার রোপার সমপরিমাণ হয় তাহলে তার উপরেও যাকাত ফরজ। উল্লেখ্য নিসাবের মালিক হওয়ার অর্থাৎ যাকত ফরজ হওয়া পরিমান সম্পদের মালিক হওয়ার এক বছর পর যাকাত আদায় করতে হবে। বছরের মাঝে সম্পদ কমে গেলেও যাকাত দিতে হবে এবং যাকাত দেয়ার সময় যত সম্পদ থাকবে সেটা হিসাব করে আড়াই পার্সেন্ট যাকাত দিতে হব।অর্থাৎ আপনার টাকা থাকার কারণে স্বর্ণকে টাকার মূল্যে হিসাব করে যাকাত দিতে হবে।আর ৪ লক্ষ টাকার যাকাত দিতে হবে। ২। ঐ টাকার মালিক কে? আপনি না আপনার বাবা? যদি মালিক আপনার বাবা হয় তাহলে হিসাব ভিন্ন হবে। ঋন হিসাব করতে হবে। আর যদি আপনি হন তাহলে আপনাকে যাকাত দিতে হবে। একসাথে থাকলেই যে পিতা মালিক হয় তা নয়। ৩। না, অতিরিক্ত কাপড়ের যাকাত দিতে হয় না। ৪। মায়ের সাথে আপনি হিসাব মেলাবেন না। যার যার হিসাব তার তার। বিয়ে না হলে যাকাত দিতে হয় না, এটা ভুল ও অবস্তাব কথা।