ওয়া আলাইকুমুস সালাম। গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশ্নটি করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন, (ولا تعاونوا على الإثم والعدوان) মন্দকর্ম ও সীমালংঘনের কাজে তো একে অপরকে সহযোগিতা করো না। সূরা মায়েদা, আয়াত নং ২। শুয়োরের গোশত রান্না করা নি:সন্দেহে মন্দকাজে সহযোগিতা। তাই এই কাজ হারাম। এমনকি ঐ হোটেলে বা হারাম কাজ হয় এমন কোথাও অন্য হালাল কাজ করা থেকে বিরত থাকাও একজন মূমিনের একান্ত কর্তব্য। কেননা এটা একধরনের সন্দেহের স্থান। আর রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, إِنَّ الْحَلاَلَ بَيِّنٌ وَإِنَّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبِهَاتٌ لاَ يَعْلَمُهُنَّ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ فَمَنِ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ اسْتَبْرَأَ لِدِينِهِ وَعِرْضِهِ وَمَنْ وَقَعَ فِى الشُّبُهَاتِ وَقَعَ فِى الْحَرَامِ নিশ্চয় হালালকাজগুলো বলে দেয়া হয়েছে এবং হারামগুলোও বলে দেয়া হয়েছে। এই দুয়ের মাঝে আছে সন্দেহযুক্ত বিষয়। অধিকাংশ মানুষ তা জানে না। সুতরাং যে সন্দেহ থেকে বেচেঁ থাকবে সে তার ধর্ম ও সম্মানকে মুক্ত রাখবে আর যে সন্দেহের মধ্যে পতিত হবে (অর্থাৎ হালাল নাকি হারাম তা স্পষ্ট হচ্ছে না এমন সন্দেহ যুক্ত কোন কাজ করবে) সে হারাম কাজ করবে। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪১৭৮। তথ্যসূত্র: মারকাজুল ফাতাওয়া, ফাতাওয়া নং ৬৩৯৭ভ