মূল্যবান একটি প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে মুবারকবাদ। উল্লেখিত প্রশ্নের উত্তর সহজে বোধগম্য হওয়ার জন্য আমরা প্রথমে অপবিত্রতাকে দুইভাগে ভাগ করে নিতে পারি । একঃ হদসে আসগার বা ছোট পবিত্রতা যে ক্ষেত্রে ওজু করলেই পবিত্রতা হাসিল হয়ে যায়, গোছলের প্রয়োজন হয় না। দুইঃ হদসে আকবার বা বড় ধরনের অপবিত্রতা যে ক্ষেত্রে ব্যক্তির উপর গোছল আবশ্যক হয়। চার মাযহাব,শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ উলামায়ে কেরাম এব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন যে, হদসে আসগার অথবা হদসে আকবার কোন অবস্থাতেই ব্যক্তি কোরআন স্পর্শ করতে পারবে না। দলীলঃ মহান আল্লাহ বলেনঃ
(لا يمسه إلا المطهرون (الواقعة
অর্থঃ তা (কোরআন) কেবলমাত্র পবিত্র ব্যক্তিরাই স্পর্শ করতে পারবে। (সূরা ওয়াকিয়া, আয়াত ৭৯)। আর কোরআন স্পর্শ করা ছাড়া প্রথম প্রকারের অপবিত্র ব্যক্তি মুখে মুখে তেলাওয়াত করতে পারবে। কিন্তু দিত্বীয় প্রকারের অপবিত্র ব্যক্তির জন্য এটাও বৈধ নয়। দলীলঃ عن علي رضي الله عنه : أن النبي صلى الله عليه وسلم خرج من الغائط وقرأ شيئا من القرآن وقال :هذا لمن ليس بجنب أما الجنب فلا ولا آية
হযরত আলী রাঃ থেকে বর্ণীত, তিনি বলেন যে,নবী সাঃ ইস্তেঞ্জাখানা (বাথরুম) থেকে বের হয়ে কোরআনের কিছু অংশ তেলাওয়াত করলেন এবং বললেন:এটা (অপবিত্র অবস্থায় কোরআন তেলাওয়াত করার বিধান) ঐ ব্যক্তির জন্য যে জুনুবি (২ য় প্রকারের অপবিত্র ব্যক্তি) নয়। পক্ষান্তরে জুনুবী ব্যক্তির জন্য একটি আয়াতও বৈধ নয়।মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বল, হাদীস নং ৮৭২,তাহকীক শুয়াইব আরনাউত,হাদীসের সনদটি হাসান।