ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ১। জ্বী, ভুলে,অনিচ্ছাকৃতভাবে কারও হক নষ্ট করলেও তাদের হক পূরণ করে দিতে হবে, তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ২। জ্বী, মা-বাবার হক নষ্ট করলেও তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ৩। আলেম ও ফকীহদের একটি বড় অংশ, বিশেষত হানাফী মাজহাবের আলেমরা বিতরকে ওয়াজিব বলেছেন। কারণ রাসূলুল্লাহ সা. الوتر حق فمن لم يوتر فليس منا قالها ثلاثا বিতর আবশ্যক, যে বিতর আদায় করবে না সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়। তিনি তিন বার এই কথা বলেছেন। সুনানু আবু দাউদ, হাদীস নং ১৪২১। শায়খ শুয়াইব আরনাউত বলেছেন, হাদীসটি হাসান লি গয়রিহি।আবার অনেকে সুন্নাত বলেছেন, হযরত আলী রা. বলেন, إِنَّ الْوِتْرَ لَيْسَ بِحَتْمٍ كَصَلَاتِكُمُ الْمَكْتُوبَةِ، وَلَكِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْتَرَ ثُمَّ، قَالَ: «يَا أَهْلَ الْقُرْآنِ أَوْتِرُوا فَإِنَّ اللَّهَ وِتْرٌ، يُحِبُّ الْوِتْرَ বিতরের নামায তোমাদের ফরয নামাযসমূহের মত অত্যাবশ্যকীয় (ফরয) নামায নয়। বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এ নামায) তোমাদের জন্য সুন্নাতরূপে প্রবর্তন করেছেন। তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা বিতর (বেজোড়), তিনি বিতরকে ভালবাসেন। হে কুরআনের বাহকগণ (মুমিনগণ)! তোমরা বিতর আদায় কর। মুসনাদু আহমাদ, হাদীস নং ১২৬২। হাদীসটি সহীহ। ফজরের সুন্নাতকেও গুরুত্বের কারণে অনেক আলেম ওয়াজিব বলেছেন।عن عائشةَ رضي الله عنها قالتْ: لم يكُنِ النبيُّ – صلى الله عليه وسلم – على شيءٍ منَ النوافلِ أشَدَّ منْه تعاهُداً على ركعتَيِ الفجرِ.
হযরত আয়েশা বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের দু’ রাকআত সুন্নতের প্রতি যেরূপ যত্নবান ছিলেন, সেরূপ অন্য কোন নফল নামাযের প্রতি ছিলেন না। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১১৬৯।