ওয়া আলাইকুমুস সালাম। এগুলো বড় ধরণের গুনাহের কাজ। তবে ঈমান নষ্ট হযে যায়, এরকম না। এগুলো করলে গুনাহ হবে, তবে চাকুরীর বেতন হারাম হবে না। সুতরাং যে কোন উপায়ে এগুলো থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। যাদের চাকুরী বা কাজে এই ধরণের হারামে লিপ্ত হতে হয় না, তাদের কাজ নিঃসন্দেহ উত্তম। আল্লাহর কাছে এমন কর্মের দুআ করা দরকার যেখানে কোন ধরণের হারাম বা না জায়েজ কাজে জড়ানোর কোন সম্ভাবনা থাকে না। আর আল্লাহকে ভয় করে হারাম কাজ ছেড়ে দিলে আল্লাহ তাদের যথাযথ প্রতিদান দিবেন মর্মে কুরআনে উল্লেখ আছে। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন, ,وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا – وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ যে আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার একটা রাস্তা বের করে দিবেন। এমন উৎস থেকে রিযিক দান করবেন যা কখানো সে কল্পনাও করে নি। যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। সূরা তলাক, আয়াত ২-৩। সুতরাং হারাম ছেড়ে দিলে রিযিকের ব্যবস্থা আল্লাহ করে দিবেন। সাময়িক কষ্ট হতে পারে, তবে দীর্ঘ মেয়োদে হালালের ভিতরেই কল্যান ও শান্তি নিহিত।