حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، وَأَبُو أَحْمَدَ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لاَ يَحِلُّ الْكَذِبُ إِلاَّ فِي ثَلاَثٍ يُحَدِّثُ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ لِيُرْضِيَهَا وَالْكَذِبُ فِي الْحَرْبِ وَالْكَذِبُ لِيُصْلِحَ بَيْنَ النَّاسِ ”
আসমা বিনত ইয়াযীদ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি ক্ষেত্র ব্যাতিত অসত্য বলা হালাল নয়। ১। স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে যেয়ে কিছু বলা। ২। যুদ্ধের প্রয়োজনে অসত্য বলা। ৩। এবং পরস্পর সুসম্পর্ক স্থাপন করতে গিয়ে কিছু অসত্য বলা। সুনানু তিরমিযী, হাদীস নং ১৯৩৯। হাদীসটি সহীহ। স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরে মিথ্যা বলার অর্থ হলো- সম্পর্কের স্থায়িত্ব ও সংসার টিকিয়ে রাখতে ভালোবাসা-প্রেমের বহিঃপ্রকাশ করার ক্ষেত্রে কৌশলী হওয়া। যেমন স্বামী বলতে পারবে- ‘তুমি অনেক সুন্দর মাশাআল্লাহ’, ‘তুমি চাঁদের চেয়েও সুন্দর’, পৃথিবীতে তুমিই আমার আপনজন’, ‘আমার চোখে তুমিই পৃথিবীর সুন্দরতম নারী’ ইত্যাদি।
তবে মিথ্যা বলার সুযোগ থাকার অর্থ মোটেও কারো অধিকার খর্ব করা বা দায়িত্ব থেকে পালিয়ে বেড়াপকেটে টাকা থেকেও যদি বলেন নেই, এটা তো ডাহা মিথ্যা কথা। এত বড় মিথ্যা আল্লাহর বান্দা বলতে পারেন না। আপনি তাঁকে অন্যভাবে বলতে পারেন যে, দেওয়ার মতো টাকা নেই এখন। কিন্তু, নেই বললে তো পুরো মিথ্যা। এভাবে মিথ্যা বলতে বলতে আপনি প্রকৃত মিথ্যুক হয়ে যাবেন।
ব্যবসায়িক প্রয়োজনে কোন যুক্তিতেই মিথ্যা বলা যাবে না। কারো ক্ষতি না হলেও মিথ্যা বলা যাবে না।নো নয়।