বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আপনাদেরকে বের করতে হবে। আমরা শরীয়াহর বিষয়টি বলতে পারি। বীর্জ পাক নাকি নাপাক এটা নিয়ে ফকীহদের মাঝে বড় ধরণের মতভেদ আছে। ইমাম শাফী রহি. এবং ইমাম আহমাদ রহি. বীর্জ পাক বলে মত দিয়েছেন। ইমাম আবু হানীফা রহি.সহ বহু ফকীহ নাপাক বলেছেন। তাদের এই মতভেদের মূল কারণ হাদীস। এবার দুয়েকটি হাদীস নিয়ে আসা যাক।
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا كَانَتْ تَغْسِلُ الْمَنِيَّ مِنْ ثَوْبِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، ثُمَّ أَرَاهُ فِيهِ بُقْعَةً أَوْ بُقَعًا.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাপড় হতে বীর্য ধুয়ে ফেলতেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ তারপর আমি তাতে পানির একটি বা কয়েকটি দাগ দেখতে পেতাম। সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৩০
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّهُ كَانَ عِنْدَ عَائِشَةَ – رضى الله عنها – فَاحْتَلَمَ فَأَبْصَرَتْهُ جَارِيَةٌ لِعَائِشَةَ وَهُوَ يَغْسِلُ أَثَرَ الْجَنَابَةِ مِنْ ثَوْبِهِ أَوْ يَغْسِلُ ثَوْبَهُ فَأَخْبَرَتْ عَائِشَةَ فَقَالَتْ لَقَدْ رَأَيْتُنِي وَأَنَا أَفْرُكُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
হাফস ইবনু উমার ….. ইব্রাহীম থেকে হাম্মামের সূত্রে বর্ণিত। তিনি আয়িশা (রাঃ) এর মেহমান ছিলেন। তাঁর সপ্নদোষ হওয়ার পর তিনি কাপড় হতে বীর্য ধৌত করছিলেন। তা আয়িশা (রাঃ) এর বাদী দেখে তাকে (আয়শাকে) অবহিত করেন। তখন আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ্ আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাপড় হতে এটা খুঁচে তুলে ফেলে দিতাম। সুনানু আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৭১। হাদীসটি সহীহ।
ফকীহগণ একমত যে, বীর্জ তরল হলে ধুয়ে ফেলতে হবে আর যদি শক্ত হয় তাহলে না ধুয়ে খুঁচে তুলে ফেললেও হবে। কিন্তু এই ধোয়া বা খুঁচে তোলা কি পবিত্র করার উদ্দেশ্যে নাকি পরিচ্ছন্নাতার উদ্দেশ্যে এই নিয়ে মতভেদ আছে।
যারা মনে করেন পবিত্র করার উদ্দেশ্যে তাদের মতে বীর্জ নাপাক। আর যারা মনে করেন পরিচ্ছন্নতার উদ্দেশ্যে তারা মনে করেন বীর্জ পাক। তারা আরো বলেন বীর্জ পাক হওয়াার কারণেই খুঁচে তুলতে বলা হয়েছে, নাপাক হলে ধোয়ার কথা বলতেন।
আর যারা বলেন নাপাক, তাদের বক্তব্য হলো নাপাক হওয়ার কারণেই ধুতে বা খুঁচে তুলতে বলা হয়েছে। খুঁচে তোলাও পাক করার একটি মাধ্যম। তারা আরো বলেন, পেশাবের কারণে ওযু ফরজ হয়। আর বীর্জের কারণে গোসল ফরজ। যে জিনিসের কারণের ওযু ফরজ হয় সেটা যদি নাপাক হয় তাহলে যার কারণে গোসল ফরজ হয় সেটা তো অবশ্যই নাপাক হওয়া দরকার। এগুলো হাদীস-ফিকহের ব্যাখ্যা।