আস-সালামু আলাইকুম, শায়খ, আমার বিবাহর পরে জানতে পারি আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিদাত এবং শিরক এর সাথে জড়িত তারা মাজার পূজারী এবং রীতিমতো তারা মাজারে সেজদা করে, বিশেষ করে আমার শ্বশুর এবং শাশুড়ি, আমি তাদের গত ১০ বছর যাবত বোঝানোর পরও তারা সেই পথ থেকে সরে আসেনি। এবং আমার বিবাহের 10 বছরে আমি কখনও দেখিনি আমার শ্বশুর শুক্রবারে জুমার নামাজ পড়তে।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি আমার স্ত্রীকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং আল্লাহর রহমতে এখন সে নিয়মিত নামাজ, রোজা ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন এবং সকল প্রকার বেদআত ও যাবতীয় শেরেকি কাজকর্ম ও মাজার পূজা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। শায়খ গত এক বছর পূর্বে আমি জানতে পারি আমার স্ত্রীর ছোট বোন জেনায় লিপ্ত, এবং সে বিবাহ বহির্ভূত সন্তান ধারণ করিয়াছেন।
আমার শ্বশুর শাশুড়ি সহ তাদের বাসার সবাই এই ব্যাপারটা জানতেন এবং তাদের সাপোর্ট আছে। আমার স্ত্রীর ছোট বোন তার বাবা-মা অর্থাৎ আমার শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে এক বাসাতেই বসবাস করেন এবং বর্তমানেও সে জেনায় লিপ্ত অর্থাৎ বিধর্মী এক ছেলের সাথে লিভ টুগেদার করেন। যদিও আমার শশুর-শাশুড়ি আমার স্ত্রীর ছোট বোনের ওপর ডিপেন্ডেবল না।
যেহেতু আমার শ্বশুর-শাশুড়ি শিরকী করেন এবং তাদের বাসাতে প্রতিনিয়ত জেনার কার্যক্রম বিদ্যমান তাই আমি আমার স্ত্রীকে তাদের বাসায় যাতায়াত নিষিদ্ধ করিয়াছি কারণ আমার শ্বশুর-শাশুড়ি প্রতিনিয়ত আমার স্ত্রীকে শিরকি কার্যক্রমে লিপ্ত হওয়ার জন্য ইনফ্লুএন্স করেন।
এমতাবস্থায় আমি যদি আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে অর্থাৎ আমার শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি এই ভয়ে যে ওনাদের সাথে সম্পর্ক রাখলে আমার ও আমার স্ত্রীর শিরকী ও জেনার কার্যক্রমে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় এতে করে কি আমার গুনাহ হবে?অথবা এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?