আমি একটি মাদ্রাসার নূরানী শিক্ষক। আমি ইংরেজি, গণিত এই ২ বিষয়ে পাঠদান করি। আমাদের এখানে হিফজও বিভাগও আছে। উপরে হিফজ বিভাগ আর নিচেনূরানী বিভাগ। আমাদের মাদ্রাসার প্রধান মুহতামিমকে যখন নিয়োগ করা হয়,তখন তাকে বলা হয় নূরানী বিভাগও দেখাশোনা করতে হবে। যার কারণে তার বেতনও আগের হুজুরের থেকে ৪/৫ হাজার বেশি ধরা হয়। উনিও তাই যোগদান করেন।সচারচর নূরানী বিভাগে কোনো অফিসিয়াল কাজ নেই। ক্লাস করাই আমরা ৪ জন শিক্ষক। মুহতামিম মাসে ৪/৫ বার নিচে আসেন। কিছুদিন পর আমাদের এক শিক্ষক, মুহতারিমকে মাদ্রাসায় কোচিং শুরু করার ব্যাপারে বলেন, কারণ বাচ্চারা বাসায় গিয়ে তেমন পড়ালেখা করতো না। মুহতারিম বিষয়টা পরিচালকের কাছে বললে, পরিচালক সাথে সাথে বিষয়টা না করে দেয়। মুহতারিম বিষয়টি নিয়ে অনেক বার পরিচালককে বলার পর, পরিচালক রাজি হন। কোচিং এর যা আয় আসতো, তা যত জন শিক্ষক পড়াইতো, সেটা ভাগ করে নিতো। আমাদের মুহতারিমও কোচিং থেকে এক ভাগ টাকা নিতো। মানে, যদি ৩ জন শিক্ষক পড়ায়, তাহলে টাকাটা ৪ ভাগ হবে। উনি যে এই টাকাটা নেয়, এইটা কি হালাল হবে? প্রথমত, উনি কোচিং বা ক্লাস কোনোটাই করান না দ্বিতীয়ত, উনাকে বাড়তি টাকা দিয়ে নূরানী দেখাশোনার জন্যও রাখা হয়। উনার যুক্তি মতে তার এই টাকাটা হালাল।
১। উনি মাদ্রাসার প্রধান। (আগেই বলছি উনাকে বাড়তি টাকা দিয়ে এই জন্যই রাখা হইছে। এখানে আরেকটা কথা বলা ভালো, নূরানী বিভাগেও আলাদা প্রধান রয়েছে, তবে তাকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।)
২। কোচিং উনি শুরু করছে। (একজন প্রধান হিসেবে এটা ওনার দায়িত্ব।)
৩। ওনার একটা ফেইস ভ্যলু আছে, ওনাকে দেখে শিক্ষার্থীদের পরিবার পড়ানোর জন্য পাঠায়। ৪। ব্যবসায় সবাই ইনভেস্ট করে না। কারো কারো নামই তার ইনভেস্ট। যেমন আমরা মেধা খাটাই, আর ওনাকে দেখে দেখে স্টুডেন্ট আসে। (এটা কি আসলে একটা ব্যবসা?) সব কথার শেষ কথা, সব কষ্ট করবে নূরানী বিভাগের শিক্ষকরা, মাঝখান থেকে উনি ১ ভাগ টাকা নেয়াটা হালাল কিভাবে?