ওয়া আলাইকুমুস সালাম। নামাযে হাত বাঁধতে হবে এটা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। কিন্তু কোথায় বাঁধতে হবে সে বিষয়ে গ্রহনযোগ্য কোন হাদীস পাওয়া যায় না। তবে সাহাবী এবং তৎপরবর্তী আলেমগণ কোথায় বাঁধতেন তা ইমাম তিরমিযী (রহ.) নিন্মেক্ত বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয়। তিনি বলেন,
وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِىِّ -صلى الله عليه وسلم- وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ يَرَوْنَ أَنْ يَضَعَ الرَّجُلُ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِى الصَّلاَةِ. وَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنْ يَضَعَهُمَا فَوْقَ السُّرَّةِ. وَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنْ يَضَعَهُمَا تَحْتَ السُّرَّةِ. وَكُلُّ ذَلِكَ وَاسِعٌ عِنْدَهُمْ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী, তাবেয়ী ও পরবর্তী আহলে ইলমের কর্মধারা এমনই । অর্থাৎ তাঁরা নামাযে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখাকে নামাযের নিয়ম মনে করতেন। তাঁদের কেউ কেউ নাভির উপরে এবং কেউ কেউ নাভির নীচে রাখাকে উত্তম মনে করতেন। তবে উভয় পদ্ধতিই তাঁদের সকলের মতে বৈধ ছিল। (জামে তিরমিযী ২/৩৩, হাদীস-২৫২- এর আলোচনায়)। অর্থাৎ হাত বাধান দুটি পদ্ধতি সাহাবীদের থেকে প্রমাণিত। এক. নাভীর উপর। দুই. নাভীর নিচে। আপনি যে পদ্ধতিতেই আমল করেন সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে। এনিয়ে কারো থেকে অহেতুক বিতর্ক কাম্য নয়।