আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহ,আমি সরকারি চাকরী পাওয়ার জন্য ৭/৮টি ভাইভা দিয়েছি চাকরি হচ্ছিলো না খুব হতাশায় ছিলাম, এমন সময় একটা সোর্স পেলাম যে, উনার সাথে যোগাযোগ করে টাকা পয়সা দিলে চাকরি পাওয়ার সহযোগিতা করবে,চাকরি হওয়ার পর টাকা নিবে, আমি বিষয়টা নিয়ে দিধাদ্বন্দে ছিলাম এমন সময় পরিবার কে জানালে তারা আমাকে উদবুদ্ব করল, আমি পরবর্তিতে অঙ্গিকার করি চাকরি হলে টাকা দিব। চাকরিটা হয়েছে আমার এবং যথারিতি টাকাও দিয়েছি, পরবর্তীতে আমি বুঝতে পারতেছিযে আমার চাকরিটা হয়তো এমনি হয়েছে । চাকরি পাওয়ার পরে আমি বিদ্যুত উপকেন্দ্রে ১ বছর দ্বায়িত্ব পালন করেছি, সেখানে কোন গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ ছিলনা, পরবর্তিতে আমাকে অপারেশন এবং কমার্শিয়াল এ বদলি করে। অপারেশন এবং কমার্শিয়াল এখানে গ্রাহক রিলেটেড কাজ করতে হয়, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গ্রাহক/দালাল/অফিসের বস লোভ প্রলোভন দেখিয়েছে এবং কিছু কাজ করেছি টাকার বিনিময়ে এবং সেই টাকা বিভিন্ন কাজে খরচ করেছি । যেমন গরীব মানুষ ও মাদ্রাসা, মসজিদ, এবং বাড়ির কাজে ।শায়েখ আহমাদুল্লাহ স্যার আপনার অনলাইন লেকচার থেকে জানতে পারি তেরো(১৩) শ্রেনীর হতভাগা যাদের আমল-ইবাদত কবুল হয় না- আমিতো তাদের মধ্যে একজন। আমারতো তাদের সবার টাকা ফিরিরে দেওয়া সম্ভব নয় । কিছু টাকা ফিরিয়ে দিতেছি এবং কারো কারো কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি আর ঐসমস্ত এবং কোন পাপ কাজ করব না তওবা করেছি। কিন্তু যখনি ঐসমস্ত পাপ কাজের কথা স্মরন হয় খুব খারাপ ;লাগে আল্লাহ ত আমার কোন দোয়া কবুল করবে না, আমি খুবি হতাশায় আছি এখন আমার কি করনীয় ।