পিতার অনুমতি ছাড়া বিবাহ হবে কিনা, এভাবে করলে কি করতে হবে এই বিষয়ে জানার জন্য এই আমাদের দেয়া ৪১ নং প্রশ্নের উত্তর দেখুন। আর জামায়াতের অর্থ হলো,
রাসূলুল্লাহ সা. মুক্তিপ্রাপ্ত বা সুপথপ্রাপ্ত দলের পরিচিতি হিসেবে বলেছেন: তারা জামাআত। জামাআত শব্দটি আরবী জাম (الجمع) থেকে গৃহীহ, যার অর্থ একত্রিত করা, জমায়েত করা, ঐক্যবদ্ধ করা (ঞড় মধঃযবৎ, পড়ষষবপঃ, ঁহরঃব, নৎরহম ঃড়মবঃযবৎ, লড়রহ) ইত্যাদি। জামাআত (جماعة) অর্থ জনগণ, জনগোষ্ঠি, বা সমাজ (পড়সসঁহরঃু, ংড়পরবঃু).
কুরআন ও হাদীসে জামাআত এবং ইজতিমা-কে ফিরকা ও ইফতিরাক-এর বিপরীতে ব্যবহার করা হয়েছে। ফিরকা অর্থ দল, গ্রপ ইত্যাদি। এ অর্থে আরবীতে হিযব, কাউম, জামইয়্যাহ (حزب، قوم، جمعية) ইত্যাদি শব্দ ব্যবহৃত হয়। আর জামাআত অর্থ দলবিহীন সম্মিলিত জনগোষ্ঠী বা সমাজ। যে কোনো স্থানে অবস্থানরত সকল মানুষকে জামাআত বলা হয়। জামাআতের মধ্য থেকে কিছু মানুষ পৃথক হলে তাকে ফিরকা বা দল বলা হয়। মনে করুন একটি মসজিদের মধ্যে ১০০ জন মুসল্লী বসে আছেন। এরা মসজিদের জামাআত। এদের মধ্যে কম বা বেশি সংখ্যক মুসল্লী যদি পৃথকভাবে একত্রিত হয়ে মসজিদের এক দিকে বসেন তবে তারা একটি ফিরকা, কাওম বা হিযব, অর্থৎ দল, গ্রপ বা সম্প্রদায় বলে গণ্য, কিন্তু তারা জামাআত বলে গণ্য নয়। যেমন, উপর্যুক্ত ১০০ জনের মধ্য থেকে ৫ জন এক কোনে পৃথক হয়ে বসলেন, আর দশ জন অন্য কোণে পৃথক হয়ে বসলেন এবং অন্য কোণে আরো কয়েকজন একত্রিত হলেন। এখন আমরা ইফতিরাক ও জামাআতের রূপ চিন্তা করি। মূলত মসজিদের জামাআত ভেঙ্গে ইফতিরাক এসেছে। তিনটি ফিরকা মূল জামাআত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আর বাকি যারা কোনো দল বা ফিরকা গঠন না করে দলবিহীনভাবে রয়ে গিয়েছেন তারা নিজেদেরকে জামাআত বলতে পারেন। আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অবস্থা এরূপই। এটি মূলত কোনো দল বা ফিরকা নয়। সাহাবী-তাবিয়ীগণের অনুসরণে যারা মূল ধারার উপর অবস্থান করছেন এবং কোনো দল বা ফিরকা তৈরি করেন নি তারাই আল-জামাআত। বিস্তারিত জানতে দেখুন কুরআন সুন্নাহের আলোকে ইসলামী আকীদা পৃষ্ঠা ৫৭৬-৫৮২।