ওয়া আলাইকুমুস সালাম। অসুস্থতার জন্য রোজা রাখতে না পারলে সুস্থ হওয়ার পর তা আদায় করতে হবে। আর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে ফিদিয়া দিতে হবে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ অর্থ: তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে কিংবা সফরে থাকবে তাহলে তার জন্য অন্য দিনগুলো, (অর্থাৎ সে পরে সুস্থ হলে কিংবা সফর থেকে ফিরে আসলে যে রোজাগুলো রাখতে পারেনি সেগুলো রাখবে)। আর যারা রোজা রাখতে গিয়ে কষ্টের শিকার হবে তাদের উপর আবশ্যক হল ফিদিয়া একজন মিসকীনকে খাবার খাওয়ানো। সূরা বাকারাহ, আয়াত: ১৮৪। এই আয়াতের ভিত্তিতে আলেগণের সর্বাক্যমতে যদি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে তার জন্য ফিদিয়া দেয়া যাবে না। আর যদি সুস্থ হওয়ার আশা না থাকে তাহলে ফিদিয়া দিতে হবে। আধুনিক ফিকহী কিতাব আল ফিকহুল ইসলামিয়্যু ও আদিল্লাতুহু এর লেখক ড. ওহুবাহ আঝ-ঝুহায়লি বলেন, وتجب الفدية أيضاً بالاتفاق على المريض الذي لا يرجى برؤه، لعدم وجوب الصوم عليه، অর্থ: সর্বাক্যমতে ফিদিয়া ওয়াজিব হবে এমন অসুস্থ ব্যক্তির উপর যার সুস্থ হওয়ার ব্যাপারে আশা করা যায় না। কেননা তার উপর তখন রোজা ওয়াজিব থাকে না। আল ফিকহুল ইসলামিয়্যু ও আদিল্লাতুহু, ২/৬০৫। আরো দেখুন: আল ফিকহ আলা মাযাহিবিল আরবা, ১/৪৪৫। উপরুক্ত দলীল সমূহে ভিত্তিতে যা বোঝা যায় তা হল, আপনার পিতা যেহেতু আগামী রমযানে রোযা রাখার ইচ্ছা করছেন, এতে বোঝা যাচ্ছে তিনি এমন অসুস্থ নন যে, তার সুস্থ হওয়া অসম্ভব, তাই আপনার পিতাকে অপেক্ষা করতে হবে। যদি তিনি সুস্থ হয়ে যান তাহলে রোজা কাযা করবেন আর যদি পরবর্তিতে এমন হয় যে তার সুস্থ হওয়ার ব্যাপারে কোন আশা করা যাচ্ছে না তখন ফিদিয়া দিতে হবে। আল্লাহ ভাল জানেন।