আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে অংকন ও চিত্রায়ন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম ২০১৭ সালে। ভর্তি হওয়ার পর ফার্স্ট ইয়ার শেষ করার পর আমার কাছে মনে হচ্ছিল আমি যা করছি তা করে শুধুই সময় নষ্ট হচ্ছে, এটা করে আমার সার্টিফিকেট ছাড়া আর কোন কাজে আসবেনা। যদিও আমি সবসময় একজন ডিজাইনার হতে চেয়েছি। কিন্তু আমার মানুষ এর ছবি অংকন করা পছন্দ না, যদিও আমাদের মানুষের ছবি আঁকতে হতো। চারুকলার পরিবেশ ও আমার ভালো লাগছিলোনা, আমি নিজে ইসলাম এর উপর থাকার চেষ্টা করি। একই সাথে বন্ধু বান্ধবদের সাথে মিশে অহেতুক সময় নষ্ট হতো।আমার মনে হতো আমি যেটা করছি, যে বিভাগে পড়ছি আল্লাহ পরীক সরূপ এটি আমাকে দিয়েছেন যে এটি আমি কিভাবে কাজে লাগাই।
করোনার পর আমি আর ক্লাস কন্টিনিউ করিনি, বাসায় বলার পরও বাবা মা বলে যে কোনরকম শেষ করে সার্টিফিকেট টা নিয়ে বের হতে কিন্তু আমার জন্যে সম্ভব হচ্ছিল না, চারুকলার মতো পরিবেশে নিজেকে দ্বীনের পথে রাখা, আর সবসময় ছবি আকলে মনে হতো হারাম কাজ করছি।
এখন আমি ভার্সিটি থেকে ড্রপ আউট হয়ে গেছি, কিন্তু বাসায় বলতে পারছিনা। বাসায় বললেও আমার কিভাবে বলা উচিত?
আর আমি ভার্সিটির হলে থাকতাম যেহেতু আর ক্লাস করিনি তাই ফার্স্ট ইয়ারের পর আর ভর্তিও হয়নি কিন্তু হলে ছিলাম তার ফী ও এড করা লাগে প্রতিবছর যখন ভর্তি হই সেই টাকার সাথে আবাসিক হল ফী ও থাকে।এখন যেহেতু আমি পরে আর ভর্তি হয়নি তাই হলে যে ছিলাম সে টাকাও আর পরিশোধ করা হয়নি আলাদা করে ভর্তি না হয়ে হলের টাকা পরিশোধ করার কোন উপায় নেই। আর যেহেতু আমি ড্রপ আউট হয়ে গেছি তাই এখন শুধু হলে থাকা বাবদ টাকা পরিশোধ করার ও কোন সুজোগ নেই।
কিন্তু আমার মনে সবসময় আসে যে, আমি প্রতারণা করছি,আমার জন্যে হলের একটা আনাসিক সীট নষ্ট হলে যেএার টাকা আমি দেয়নি।উল্লেখ্য সবার জন্যে ৫ বছর অবধি হলের সীট বরাদ্দ থাকে হলে সীট পাওয়ার পর।যেহেতু ম্যামরা তদারকি করেননি তাই তারা আমার সীট ও কাটেন নি।
এখন আমার করণীয় কি?