১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস। এ দিবসে বৃদ্ধ ও বয়স্ক মানুষদের প্রতি সচেতনতা তৈরির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া এ দিবসে বৃদ্ধদেরকে উপহার, মেসেজ ইত্যাদি প্রদান করা হয়। বস্তুত আধুনিক পাশ্চাত্য স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক সভ্যতার অভিশাপে সমাজের বয়স্ক মানুষেরা অত্যন্ত অবহেলিত হন। পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে অধিকাংশ মানুষই বৃদ্ধ পিতামাতার তেমন খোঁজ রাখেন না।
একাকী বাড়িতে বা বৃদ্ধ-নিবাসে তারা বসবাস করেন। পানাহার ও জাগতিক বিষয়গুলির ব্যবস্থা থাকলেও পুত্র, কন্যা, পৌত্র, দৌহিত্র ও আপনজনদ সাহচার্য থেকে একেবারেই বঞ্চিত হওয়ার কারণে তারা মানসিকভাবে অত্যন্ত কষ্ট ভোগ করেন। প্রবীণ দিবসে তাদেরকে দয়া করে উপহার, মেসেজ ইত্যাদি দিয়ে থাকে তাদের দূরবাসী পুত্রকন্যা ও আপনজনেরা।
ইসলামী সমাজে এ সমস্যাটির কোনো অস্তিত্ব থাকতে পারে না। বৃদ্ধ পিতামাতা, দাদাদাদী, নানানানীকে সেবা করা মানুষের অন্যতম ফরয দায়িত্ব। জুমাদাস সানিয়া মাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় খুতবায় আমরা বান্দার হক্ক ও পিতামাতার হক্ক প্রসঙ্গে এ সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
প্রবীন বা বৃদ্ধদের প্রতি দায়িত্ব শুধু পরিবারেরই নয়, বরং সমাজের সকলেরই। প্রবীণদের সম্মান করা, তাদের সম্মানজনক জীবনযাত্রার ব্যবস্থা করা, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, দেখতে যাওয়া, তাদের বৃদ্ধবয়সের কষ্ট ও অসুবিধা যথাসম্ভব লাঘব করা ইত্যাদি আমাদের সকলের দায়িত্ব। বিভিন্ন হাদীসে বিশেষ করে বয়স্ক, প্রবীন বা বৃদ্ধদের মর্যাদা ও অধিকার আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَمْ يَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَيُوَقِّرْ كَبِيرَنَا (وَيَعْرِفْ حَقَّ كَبِيرِنَا) (يَعْرِف شَرَفَ كَبِيْرِنَا)
“ যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদেরকে স্নেহ করে না এবং আমাদের প্রবীন ও বয়স্কদেরকে সম্মান করে না, তাদের অধিকার ও মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন নয় সে ব্যক্তি আমার উম্মত নয়।”1তিরমিযী, আস-সুনান ৪/৩২১; আবূ দাউদ, আস-সুনান ৪/২৮৬; হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ১/১২৭, ৫/৮১, সাহীহুত তারগীব ১/২৪-২৫। হাদীসটি সহীহ।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, রাহিমাহুল্লাহ, বই: খুতবাতুল ইসলাম, পৃ. ৪৬৫।
বাইবেল, কুরআন ও ধর্ম (১ম অংশ), বাইবেল পরিচিতি ২য় অংশ, তাওহীদের ঈমান (১), তাহলে আপনি কেমন রোযাদার?