প্রশ্ন-১৩৪: (এক নারীর প্রশ্ন) আমার বয়স ২২ বছর। আমি এতোদিন কুরআন শরীফ পড়তে পারতাম না। কিছুদিন হয়েছে, আমি একজন ছেলের কাছে কুরআন শরীফ শিখছি। কিছুদূর পড়া হয়েছে। কিন্তু আমার অনেক খারাপ লাগে, ছেলে-হুযুর তো! এখন আমি কী করব?
উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ! কুরআন শেখার ক্ষেত্রে আপনার আগ্রহ বরকতময়। তবে আমাদের বুঝতে হবে, কুরআনের শিক্ষা গ্রহণ করা আমাদের জন্য ফরয। কুরআন নির্দেশিত তাওহীদ, কুরআন নির্দেশিত সালাত, কুরআন নির্দেশিত সৎজীবন, দুর্নীতি-মুক্ত জীবন, বান্দার হক, আল্লাহর হক। কুরআন তিলাওয়াত করা, সালাত আদায় পরিমাণ সহীহ তিলাওয়াহ শেখাটাও আমাদের জন্য জরুরি। তবে কুরআন তিলাওয়াত করা মূলত নফল ইবাদত। এটা না করলে গুনাহ হবে না। করলে ব্যাপক সাওয়াব। এর অর্থ বোঝা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে নফল পর্যায়ের। পর্দাটা আল্লাহ ফরয করেছেন।
কাজেই কুরআন তিলাওয়াত শেখার জন্য যদি আপনি পুরুষ উস্তাদ গ্রহহণ করেন, সেক্ষেতে বুঝতে হবে পর্দা ফরয। পর্দার দুটো দিক, পুরুষের সাথে কোনো মেয়ে একত্রে একঘরে থাকা; আপনি বোরখা পরে আছেন, তা সত্ত্বেও একটা পুরুষের সাথে একা একঘরে থাকা হারাম! সেখানে অন্য কোনো নারী পুরুষ থাকলে হবে। দিব্তীয়ত, মুখ খুলে নারীপুরুষের সানাসামনি বেপর্দা বসা হারাম। কাজেই আমাদের চেষ্টা করতে হবে মহিলা শিক্ষিকা রাখা।
অথবা একাধিক মহিলা একজন পুরুষ শিক্ষকের কাছে পর্দাসহ শেখা যেতে পারে, পর্দার আড়ালে শেখা যেতে পারে। সহীত সালাত আদায় করার মতো শেখা; যতোটুকু শিখলে ফরয আদায় হয়ে যাবে ততোটুকু শিখা। এটকুকু শিখতেও পর্দার ফরয লঙ্ঘন না করার ছেষ্টা করি। আল্লাহ তা‘আলা তাওফীক দিন।