(১) “কেননা মনুষ্যপুত্র আপন দূতগণের (angels) সহিত আপন পিতার প্রতাপে আসিবেন, আর তখন প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাহার ক্রিয়ানুসারে প্রতিফল দিবেন। আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যাহারা এখানে দাঁড়াইয়া রহিয়াছে, তাহাদের মধ্যে এমন কয়েক জন আছে, যাহারা কোন মতে মৃত্যুর আস্বাদ পাইবে না, যে পর্যন্ত মনুষ্যপুত্রকে আপনার রাজ্যে আসিতে না দেখিবে।”1মথি ১৬/২৭-২৮।
(২) “আমরা প্রভুর বাক্য দ্বারা তোমাদিগকে ইহা বলিতেছি যে, আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা প্রভুর আগমন পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকিব, আমরা কোন ক্রমেই সেই নিদ্রাগত লোকদের অগ্রগামী হইব না। কারণ প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনি সহ, প্রধান দূতের রব সহ, এবং ঈশ্বরের তূরীবাদ্য সহ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন, আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে তাহারা প্রথমে উঠিবে।
পরে আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা অবশিষ্ট থাকিব, আমরা আকাশে প্রভুর সহিত সাক্ষাৎ করিবার নিমিত্ত একসঙ্গে তাহাদের সহিত মেঘযোগে নীত হইব; আর এইরূপে সতত প্রভুর সঙ্গে থাকিব।”2১ থিষলনীকীয় ৪/১৫-১৭।
(৩) “দেখ, আমি তোমাদিগকে এক নিগূঢ়তত্ত্ব বলি; আমরা সকলে নিদ্রাগত হইব না (মরিব না), কিন্তু সকলে রূপান্তরীকৃত হইব; এক মুহূর্তের মধ্যে, চক্ষুর পলকে, শেষ তূরীধ্বনিতে হইবে; কেননা তূরী (সিঙ্গা) বাজিবে, তাহাতে মৃতেরা অক্ষয় হইয়া উত্থাপিত হইবে, এবং আমরা রূপান্তরীকৃত হইব।”3১ করিন্থীয় ১৫/৫১-৫২।
(৪) “আর তিনি আমাকে কহিলেন, তুমি এ গ্রন্থের ভাববাণীর বচন সকল মুদ্রাঙ্কিত করিও না (লিখিও না); কেননা সময় (কিয়ামত) সন্নিকট। যে অধর্মচারী, সে ইহার পরেও অধর্মাচরণ করুক এবং যে কলুষিত, সে ইহার পরেও কলুষিত হউক; এবং যে ধার্মিক, সে ইহার পরেও ধর্মাচরণ করুক; এবং যে পবিত্র, সে ইহার পরেও পবিত্রকৃত হউক।”4প্রকাশিত বাক্য/ প্রকাশিত কালাম ২২/১০-১১ খৃস্টানদের মধ্যে প্রচলিত ইঞ্জিল শরীফ ঈসা (আ)-কে অত্যন্ত অবমানাকরভাবে চিত্রিত করেছে।
যেমন,
তিনি মানুষদেরকে গালি দিতেন5মথি ১৬/২৩, ২৩/১৩-৩৩, অন্য বংশ বা ধর্মের মানুষদের শূকর ও কুকুর বলতেন6মথি ৭/৬; ১৫/২২-২৮, মার্ক ৭/২৫-২৯, পূর্ববর্তী নবীদেরকে চোর-ডাকাত বলতেন7যোহন ১০/৭-৮, নিরপরাধ মানুষদেরকে অভিশাপ দিতেন8মথি ২৩/৩৫-৩৬, অকারণে হত্যা করতেন9মথি ২১/১৮-২১, মার্ক ৫/১০-১৪; ১১/১২-২২, অবিশ্বাসীদেরকে নির্বিচারে ধরে ধরে জবাই করার নির্দেশ দিতেন10লূক ১৯/২৭, মিথ্যা বলতেন11মথি ১৬/২৭-২৮: ১৯/২৮: মার্ক ২/২৫-২৬, ১১/২৩, ১৬/১৭-১৮: লূক ১৮/২৯-৩০, যোহন ৩/১৩), মদ পান করে মাতাল হতেন (লূক ৭/৩৪-৫০, যোহন ১৩/৪-৫,
বেশ্যা মেয়েদেরকে তাঁকে স্পর্শ করতে ও চুম্বন করতে দিতেন12লূক ৭/৩৪-৫০, ৮/১-৩, যোহন ১১/১-৫, নিজের মায়ের সাথে ভয়ঙ্কর বেয়াদবি করেছেন13মথি ১২/৪৬-৫০; মার্ক ৩/৩১-৩৫; লূক ৮/১৯-২১, যোহন ২/৪, ১৯/২৬, তিনি অত্যন্ত ভীত ও কাপরুষ ছিলেন14মথি ২৬/৩৬-৪৬, ২৭/৩৮-৫১; লূক ২২/৪১-৪৬, মার্ক ১৫/২৭-৩৮। সাধু পল ও তাঁর অনুসারীরা ঈসা (আ)-কে ‘মালউন’ বা অভিশপ্ত বলে দাবি করেছেন15গালাতীয় ১০-১৩। (নাঊযু বিল্লাহ!)
খৃস্টান প্রচারককে বলুন, আপনারা ঈসা (আ)-এর অনুসারী নন, আপনারা সাধু পলের অনুসারী। আপনার ঈসা (আ)-কে অপমানিত করেছেন এবং তাঁর নাম ভাঙ্গিয়ে শিরক-কুফর প্রচার করেছেন। তিনি অবতরণ করে প্রথমে আপনাদের মত মিথ্যচারীদেরকেই ধ্বংস করবেন। কাজেই তাঁর বিষয়ে সাধুপলের মিথ্যা ধর্ম পরিত্যাগ করে কুরআনের বিশুদ্ধ বিশ্বাস গ্রহণ করে তাঁর পুনরাগমনের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
আল ফিকহুল আকবার (বঙ্গানুবাদ ও ব্যাখ্যা)
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ।