আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 6559

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক

প্রকাশকাল: 18 ডিসে. 2023

প্রশ্ন

আস-সালামু আলাইকুম হুজুর। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমি আমার স্ত্রী কে নিয়ে কর্মসূত্রে নিজ বাসা থেকে দূরে থাকি। এখন, আমার মা চায় আমার স্ত্রী, আমার সন্তানকে নিয়ে তার সাথে ১০-১৫ দিন থাকুক। কিন্তু আমার স্ত্রী কোন ভাবেই আমাকে ছাড়া শ্বশুর বাড়ি থাকতে চায় না। আমার স্ত্রীর কথা হলো আমাকে সহ প্রয়োজনে ১ মাস থাকবে। কিন্তু আমাকে ছাড়া ১ দিনো শ্বশুরবাড়ি একা থাকবে না।(বিয়ের পর আমার স্ত্রীকে ১৬ দিন একা আমার বাসায় রেখেছিলাম, তখন আমার মা তাকে মানসিক আঘাত বা কস্ট দিয়েছিলো, যেটা আমি আমার স্ত্রীর কাছ থেকে পড়ে জানতে পেরেছি)।
এখন আমার স্ত্রী যেহেতু একা শ্বশুড়বাড়ি আমার মায়ের সাথে থাকতে চায় না, এজন্য আমার মা আবার কস্ট পায়। সে অভিশাপ দেয়। ও আমাকে এই জন্য তিরস্কার করে যে আমি কেনো জোড় করে আমার স্ত্রীকে রেখে আসি না। এখন হুজুর আমার কি করনীয়? আমি কি মায়ের কথা শুনব নাকি স্ত্রীর চাওয়াকে গুরুত্ব দিব?

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আপনাকে দুটোই করতে হবে। মায়ের কথাও শুনতে হবে, স্ত্রীর কথাও রাখতে হবে। বেশীর ভাগ পরিবারে শ্বাশুড়ীরা পুত্রবধুদের প্রথমে এমন কষ্ট দেয় আর পুত্রবধুরা সেটা মনে রেখে পরে শ্বাশুড়ীদের কষ্ট দেয়। আপনি যদি কর্মস্থলে খুব বেশী ছুটি না পান তাহলে মাঝে মাঝে (সেটা দু মাস পর পর হতে পারে) স্ত্রীকে ৫-৭ দিনের জন্য বাড়িতে রেখে আসবেন। ৫-৭ দিনের জন্য গেলে কোন সমস্যা হবে না। স্ত্রীকে এটা বুঝাবেন নাতি-নাতনিদের সাথে তাদের সময় কাটানোর ইচ্ছা, এটা অন্যায় নয়, এটা সব মানুষেরই চাওয়া, এই অল্প দিনের জন্য গেলে সেখানে কোন কষ্ট পাওয়াার আশঙ্কা নেই। আর কষ্ট পেলেও তো কয়েক দিন। আর এমন কষ্ট দেওয়ার ঘটনা পৃথিবীতে এটাই প্রথম নয়। এটা বহু যুগ ধরে চলে আসছে। আপনর আম্মাও হয়তো প্রথম জীবনে এমন খারাপ আচরণের শিকার হয়েছে, এভাবে বুঝাবেন। সবাইকে নিয়েই আপনাকে চলতে হবে, কাউকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে অন্যকে অবহেলা করা যাবে না।