আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 6543

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক

প্রকাশকাল: 18 ডিসে. 2023

প্রশ্ন

আস-সালামু আলাইকুম, একটি ব্যক্তিগত ও বৈশ্বিক হতাশা থেকে প্রশ্ন করছি।

আমি একজন ওয়েব – ডেভেলপার শিক্ষানবিস। পরিবারের দায়িত্ব নিতেই অনেক স্বপ্ন নিয়ে এই সেকটরে ক্যারিয়ার করার পরিকল্পনা করেছি । কিন্তু এখনকার যুগে এ-আই বিপ্লব নতুন করে এই সেকটরের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে।

মানুষের অনেক কাজ সহজে করে দিচ্ছে, এটি নিয়ে প্রায় সবাই হতাশ। তবে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক মতামত আছে, সত্যি কি এই সেকটরের চাকরি এ-আই খেয়ে ফেলবে।

কিন্তু বর্তমানে আমার সমস্যাটি হয়ে গেছে তার চেয়েও বড়, আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ছি এসব দুঃচিন্তায়। ইসলামিক লেকচারারদের কথা শুনলে মনে হয় যা হবে তকদির অনুযায়ী হবে, আল্লাহ তো রিযিকের মালিক। কিন্তু এর বাইরে আসলেই চরম হতাশা কাজ করে ভবিষ্যৎ কি হবে?

এতে আমার স্বাভাবিক কাজ কর্ম নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই অবস্থায় আমার কি করা উচিত ।

উত্তর

বর্তমানের আধুনিক শিক্ষা একটি হতাশ এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্থ জাতি তৈরী করছে। যখন এই শিক্ষা এখনকার মতো ব্যাপক ছিল না, কথিত এই শিক্ষার প্রতি মানুষ এতো প্রবল ঝোঁক ছিল না তখন বেকার, হতাশ, ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ কোন মানুষ ছিল না। সবাই জানতো কাজ করতে হবে, চলতে হবে। যাইহোক এখন আপনার জন্য করণীয় হলো সকল ফরজ ও ওয়াজিব কাজগুলো যথাযথ আদায় করবেন, হালাল-হারাম মেনে চলবেন। আর যে কাজ করতে চান তার জন্য চেষ্টা  চালিয়ে যাবেন। ইনশাআল্লাহ এক সময় সব ঠিক হয়ে যাবে। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন, ,وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا – وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ যে আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার একটা রাস্তা বের করে দিবেন। এমন উৎস থেকে রিযিক দান করবেন যা কখানো সে কল্পনাও করে নি। যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। সূরা তলাক, আয়াত ২-৩। রিযিক নিয়ে বেশী চিন্তা করে শয়তানের ফাঁদে পা দিবেন না। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন, ٱلشَّيْطَٰنُ يَعِدُكُمُ ٱلْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُم بِٱلْفَحْشَآءِ ۖ وَٱللَّهُ يَعِدُكُم مَّغْفِرَةً مِّنْهُ وَفَضْلًا ۗ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ শয়তান তোমাদেরকে দারিদ্রতার ভয় দেখায় এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয় এবং আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা ও অনুগ্রহের ওয়াদা করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সুবিজ্ঞ। সূরা বাকারাহ, আয়াত ২৬৮।