আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 6532

বিবাহ-তালাক

প্রকাশকাল: 18 ডিসে. 2023

প্রশ্ন

আস-সালামু আলাইকুম। খুব অসহায় হয়ে এবং দুঃখের সাথে এইখানে শেয়ার করতেছি। আশা রাখছি ভালো একটা সাজেশন পাবো ইনশা আল্লাহ। পারিবারিকভাবেই আমার জন্যে মেয়ে দেখে বিয়ে হয় এবং আমার কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। বিয়ের আগে আমার মা,খালা,বোন গিয়ে মেয়ে দেখে এবং পছন্দ অনুসারেই বিয়ে হয়।

কিন্তু বিয়ের পর দিন থেকে আমার মা খালা সবাই আমার বউ কে কালো অসুন্দর রুগিলা গরিব বলে নিয়মিত অসম্মান করে এবং বিভিন্ন জিনিস আনার জন্যে চাপ প্রয়োগ করতো এবং আনলেও মন মতো হতো না তাই আবার সব সময় কথা শুনাতো। এগুলা আমার আর আমার বাবার অগোচরে করতো কারণ আমরা এইগুলা পছন্দ করি না। আমার মা আমাদের সামনে ভালো ব্যবহার করতো আর আমার স্ত্রী এর সাথে গোপনে খারাপ আচরণ করতো। ধর্ম অনুসারে আমি মা কে বিভিন্ন ভাবে বুঝাইতাম ওয়াজ শুনাইতাম কিন্তু কোনো ফল পাই না।

আর আমার বউ কেও বুঝিয়ে ধর্য্য ধরতে বলতাম আর ও আম্মুর কোনো কথার উত্তর দিতো না, চুপ হয়ে থাকতো । এমনও হয়েছে আমি বাধ্য হয়ে নিজে কিনে এনে শশুড়বাড়ির নাম করে দিসি । এক পর্যায়ে আমার স্ত্রী মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে এখন শারীরিক ভাবে অসুস্থ।

এক পর্যায়ে শান্তির কথা ভেবে আব্বু আম্মু অনুমতি নিয়ে অফিস এর কাজ আর স্ত্রী অসুস্থতার কথা বলেই শহরে বাসা নিয়ে থাকা শুরু করি। কারণ সে অসুস্থ থাকার কারণে আম্মু কে আম্মুর মনমতো সাহায্য করতে পারতো না তবে সে তার জায়গা থেকে ১০০% চেষ্টা করতো। বলে রাখি আমরা মাসে ২-৩বার বাড়িতে যাই এবং কাজের মৌসুম আসলে গিয়ে অনেকদিন থাকি।

এখন আমার ভয় হয় যে এতে কি আমার গুনাহ হবে আলাদা থাকার জন্যে ? আর আমার স্ত্রী যে আমাকে তার প্রতি হওয়া জুলুম এর কথা বলে এতে কি গীবত এর গুনাহ হবে ? ও আমাকে ছাড়া আর কাওকে বলে না ইভেন ওর নিজের বাবা মা কেও না। উল্লেখ আমার মা কে যতই নানা ভাবে নসীহা করি উনি রাগ করে এবং অনেক মিথ্যা কথা বলে। আর এখন তাই কিছু বলতে যাই না আর আমি আমার মা কে অনেক ভালোবাসি এবং তাদের বেপারে আল্লাহ কে অনেক ভয় করি।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আল্লাহ আপনাদের উপর রহম করুন। এই সমস্যা দেশের অধিকাংশ পরিবারে। অধিকাংশ শ্বাশুড়ীরা পুত্রবধূদের উপর জুলুম করেন। অনেক পুত্রবধূও শ্বাশুড়ীদের উপর জুলুম করে। আপনি আলাদা বাসা নিয়ে সঠিক কাজ করেছেন। কাজের সময় বেশী দিন স্ত্রীকে বাড়িতে রাখলে যদি সমস্যা হয় তাহলে বেশী দিন রাখারও প্রয়োজন নেই। আপনার স্ত্রী তার প্রতি জুলুমের বিষয়টি সমাধাণের জন্য আপনার কাছে বললে সেটা গীবত হবে না। তবে সমস্যা সমাধাণ হয়ে গেলে এই নিয়ে চর্চা করবেন না।