আস-সালামু আলাইকুম, আমার আম্মু দীর্ঘদিন বিছানায় পড়ে ছিলেন। কোন অনুভূতি ছিলো না এবং ডাক্তাররা আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। নতুন নতুন রোগের উপসর্গ দেখা দিলেও ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশনে সেটির ওষুধ লিখতেন না, মুখে বলে দিতেন যেহেতু প্যারালাইজড রোগী তাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব ছিল না। এমন অবস্থায় ছোটখাটো রোগ যেমন ডায়রিয়া, বমি, কষা ইত্যাদি তে ফার্মেসি থেকেই জিজ্ঞাসা করে ওষুধ দিতাম। এর মধ্যে মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে প্রচণ্ড যন্ত্রনায় ছোটফট করছিলেন। এই অবস্থায় খুব সামান্য পরিমাণে ৪ ভাগের এক ভাগ ঘুমের ওষুধ খাইয়েছিলাম আমি (কারো সাথে পরামর্শ না করেই, ঐ ওষুধটি ডাক্তার শুরুর দিকে লিখেছিলেন) । ২ বেলা খাওয়ানো হয়েছিল। এরপর মোটামুটি বেশ শান্ত হয়ে ঘুমাচ্ছিল আম্মু। এর ২ দিন পর আম্মু প্রায় ঘুমের ঘোরেই মারা যান। উল্লেখ্য, উনার কোন বোধ শক্তি ছিল না। কিছুদিন আগে দেখলাম, এক শায়খ বলেছিলেন, চিকিৎসাবিদ্যা না জানা ব্যক্তির পরীক্ষা নির্ভর কার্যাকলাপে কেউ মারা গেলে সেটি হত্যা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এর জন্য রক্তপণ আদায় করতে হবে। কিন্তু আমার মা এর ব্যাপারে তো চিকিৎসকরা হাত গুটিয়ে নিয়েছিলেন। তাছাড়া, আমি নিশ্চিতও নই, উনি একারণেই মারা গিয়েছেন কি না। এখন, আমি কি করতে পারি, আমি কি আমার মা এর হত্যাকারী হিসেবে বিবেচিত হবো? আম্মুও তো নেই যে মাফ চাইব। জাঝাকুমুল্লাহু খায়রান