আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 4677

হাদীস

প্রকাশকাল: 19 নভে. 2018

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম,
আমার হাদীস এর সত্যতা বিষয়ক একটি প্রশ্ন ছিল। সুন্নাহর আলোকে আপনার কিছুটা সময় ব্যয় করে যদি আমাকে সঠিক তথ্য দেন তাহলে আমার জ্ঞানার্জনে উপকার হয়। দেখুন বিষয়টা কাউকে বিচার করার উদ্দেশ্যে নয়। আমার মনের অভ্যন্তরে বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে বিধায় আমি সুন্নাহর আলোকে এর উত্তর জানতে চাচ্ছি। আমি নারায়াগঞ্জ থাকি। আমি নাম বলবোনা, এখানেরই কোনো এক মসজিদে এই ১০ই মহররমের রাতে এক ওয়াজ হয়েছিল। সেখানে ওয়াজকারী শায়খ নিম্নোক্ত কিছু কথা বর্ণনা করেন- ১. জান্নাতে ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়া নাবী সাঃ এর স্ত্রী হবেন, ঈসা আঃ এর মাতা মরিয়ম ও নাবী সাঃ এর স্ত্রী হবেন, এবং মুসা আঃ স্ত্রী ও নাবী সাঃ এর স্ত্রী হবেন। খাদিজা রাঃ এর কাছে হুজুর সাঃ এভাবে এই কথা গুলো বলেন যে, খাদিজা তুমিতো জান্নাতে চলে যাচ্ছো সেখানে তুমি ছাড়াও আমার আরও তিনজন স্ত্রী হবেন এবং তারপর তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। ২. হুজুর সাঃ আমাদেরকে বলেছেন যে, তিনি আমাদের মধ্যে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছেন, একটি হচ্ছে আল্লাহর Quran এবং অপরটি হচ্ছে আহলে বায়াত। আমাদেরকে এই দুটি জিনিস কে আকড়ে ধরতে হবে, আল্লাহর Quran কে মানা এবং আহলে বায়াতকে সম্মান করা তাদের ব্যপারে কথা বলার মাধ্যমে। সুন্নাহর আলোকে কথাগুলো কতটা যুক্তিযুক্ত আমি তা জানতে পারলে খুবই উপকৃত হব। ধন্যবাদ।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। কমপক্ষে ৭টি অগ্রহনযোগ্য হাদীসে উল্লেখ আছে জান্নাতে ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়া, ঈসা আঃ এর মাতা মরিয়ম ও মুসা আঃ এর বোন নাবী সাঃ এর স্ত্রী হবেন।মুসা আর এর স্ত্রী নয় বোনের কথা আছে। তবে এই হাদীসগুলোর কিছু দূর্বল, কিছু মাওযু। এই হাদীসগুলোর একটিও দলীল যোগ্য নয়। এগুলো রাসূলুল্লাহ সা. এর কথা বলে বিশ্বাস করা যাবে না। হাদীসগুলোর অবস্থা বিস্তারিত জানত https://islamqa.info/ar/answers/111279/%D8%A7%D9%84%D8%A7%D8%AD%D8%A7%D8%AF%D9%8A%D8%AB-%D8%A7%D9%84%D9%88%D8%A7%D8%B1%D8%AF%D8%A9-%D9%81%D9%8A-%D8%B2%D9%88%D8%A7%D8%AC-%D8%A7%D9%84%D9%86%D8%A8%D9%8A-%D8%B5%D9%84%D9%89-%D8%A7%D9%84%D9%84%D9%87-%D8%B9%D9%84%D9%8A%D9%87-%D9%88%D8%B3%D9%84%D9%85-%D9%81%D9%8A-%D8%A7%D9%84%D8%AC%D9%86%D8%A9-%D9%85%D9%86-%D9%85%D8%B1%D9%8A%D9%85-%D8%A8%D9%86%D8%AA-%D8%B9%D9%85%D8%B1%D8%A7%D9%86-%D9%88%D8%A7%D8%B3%D9%8A%D8%A9-%D8%A8%D9%86%D8%AA-%D9%85%D8%B2%D8%A7%D8%AD%D9%85-%D9%88%D9%83%D9%84%D8%AB%D9%88%D9%85-%D8%A7%D8%AE%D8%AA-%D9%85%D9%88%D8%B3%D9%89-%D8%B9%D9%84%D9%8A%D9%87-%D8%A7%D9%84%D8%B3%D9%84%D8%A7%D9%85 কুরআন ও আহলে বাইয়েতকে আকড়ে ধরার বিষয়টি সহীহ হাদীসে আছে। তবে আহলে বাইয়েতের অর্থ তিনি যা বলেছেন তা নয়।হাদীসটি লক্ষ করুন عن جابر بن عبد الله قال : رأيت رسول الله صلى الله عليه و سلم في حجته يوم عرفة وهو على ناقته القصواء يخطب فسمعته يقول يا أيها الناس إني قد تركت فيكم ما إن أخذتم به لن تضلوا كتاب الله وعترتي أهل بيتي সাহাবী জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. বলেন, হজ্বে আরাফার দিন রাসূলুল্লাহ সা.কে বলতে শুনেছি হে মানুষেরা! আমি তোমাদের মাঝে কুরআন ও আমার পরিবার রেখে যাচ্ছি। যদি তোমরা এগুলো আঁকড়ে ধরো, তাহলে পথ হারাবে না। সুনানু তিরমিযি, হাদীস নং ৩৭৮৬। হাদীসটি সহীহ। আহলে বাইয়েত বা রাসূলুল্লাহ সা, এর পরিবার দ্বারা এখানে কয়েকটি উদ্দেশ্য হতে পারে বলে আলমগণ মনে করেন। ১।অধিকাংশ হাদীসে যেহেতু কুরআন ও সুন্নাহর কথা আছে, সেহেতু এখানে আহলে বাইয়েত দ্বারা মূলত সুন্নাহ উদ্দেশ্যে। ২। আহলে বাইয়েত দ্বারা রাসূলুল্লাহ সা. এর বংশ। তার বংশের সকলে যদি কোন মাসআলাতেেঐক্যমত পোষন করেন তাহলে সেটা দলীল হিসেবে গণ্য। তার বংশ দ্বারা পুরো বনু হাশিম বুঝাবে। ৩। আহলে বাইয়েত দ্বারা রাসূলুল্লাহ সা. এর সকল স্ত্রী উদ্দেশ্য। অর্থাৎ তারা রাসূলুল্লাহ সা, থেকে যেভাবে দ্বীন ব্যাখ্যা করেছেন সেভাবে অনুস্বরণ করত হবে। ৪।রাসূলুল্লাহ সা. এর পরিবারে সকল সৎ সদস্য, যারা কুরআন ও সুন্নাকে আকড়ে ধরেছেন তাদের সকলে বুঝাবে। অর্থাৎ তাদের জীবন চলার রীতি আমাদের জন্য অনুস্বরণীয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আরো বিস্তারিত জানতে দেখুন https://ar.islamway.net/article/82368/-%D9%83%D8%AA%D8%A7%D8%A8-%D8%A7%D9%84%D9%84%D9%87-%D9%88%D8%B9%D8%AA%D8%B1%D8%AA%D9%8A-%D9%83%D8%AA%D8%A7%D8%A8-%D8%A7%D9%84%D9%84%D9%87-%D9%88%D8%B3%D9%86%D8%AA%D9%8A