আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 3914

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক

প্রকাশকাল: 17 অক্টো. 2016

প্রশ্ন

সালাম, আমার মেয়ের নাম আমিরা বিনতে মিজান (আমিরা) ওর বয়স ছয় বছর (শুরু)। ও রাতের বেলা ঘুমালে আনুমানিক রাত ১২.৫০ থেকে ২.২০ মিনিট এর মধ্যে ঘুম ভেঙ্গে ভয়ে কাঁপতে থাকে ও কিছুটা কান্না করে। কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেয় না। বাবা ও মায়ের কোলে কয়েক সেকেন্ড এর বেশী থাকতে চায় না। আনুমানিক পাঁচ মিনিটের মধ্যে হামি দিয়ে একবারে নরমাল হয়ে যায়, কিছু মনে থাকেনা ও ঘুমাতে চলে যায়। ডঃ জাহাঙ্গির (রহি) উনার দেওয়া দোয়া উঈযুকুম বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি, ওযু করে ও বিসমিল্লাহ্ বলে বিছানায় উঠানো, মোবাইলে সুরাহ বাকারাহ চলতে থাকা, জমজমের পানি, পড়া পানি, বারান্দার দরজা বন্ধ বা খোলা রেখে সব চেষ্টা করেছিলাম। একেটা কাজে ১-৩ দিনের মত আর সমস্যা হতনা তার পর আবার হয়। এইটা প্রায় এক বছরের মত হবে। ছয় মাস আগে আমার ওয়াইফ গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে এই সমস্যা ছিল না, আমাদের বাড়িতে আসার পরও ৬ মাসের মত এই সমস্যা ছিলনা। গত ১৪ দিন আগে আবার শুরু হয়েছে। আমাদের পাশের বাসার এক ইমাম সাহেব থেকে পানি পরা নিয়েছিলাম, ঐ পানি পরা তাকে খাওয়াতাম ও বিছানায় ছিটাতাম এতে প্রায় ৫-৬ দিন আর হয় নাই, কিন্তু ২৮ এরপর থেকে আবার হচ্ছে। শেষের ২ দিন আমি অনেক বকা দেই ও বলি মারবো (মনে করেছি যদি এত কাজ হয়! পরের সকালে জিজ্ঞেস করলে সে বলতে পারবে না যে আমি বকা দিয়েছি। এই অবস্থায় তৈরি হয়ার জন্য একটি ঘটনা দায়ীয় মনে হয়। বছর খানেক আগে আমরা তিনজন পুবাইল নতুন করে শহরের মত বানাচ্ছে ঐখানে গিয়েছিলাম ঘুরতে, ঐখানে বড় বড় একবারে শুকনো ড্রেন আছে। আমার মেয়ের প্রস্রাব দরায় আমি ওকে ওইরকম ড্রেন একটাতে নামিয়ে প্রস্রাব করায়। এর দু বা তিন দিন পর থেকে এই সমস্যা শুরু হয়। আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব থেকে জারানো ও আরেক মসজিদের ইমাম সাহেব সহ ২ জনের পানি পরা খাওয়ানো ও ছিটানো লাভ হয় নাই, ২ থেকে ৩ দিন ভাল তারপর আবার একি অবস্থা। ডঃখোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহিমাহুল্লাহ উনাকে অনেক ভাল ও শিক্ষিত আলেম হিসেবে আমি জানি ও মানি। যেহেতু এইটা উনার হাতে গড়া প্রতিস্টান তাই মনে হলে আপনারা ভাল আলেম হবেন যারা আমাকে কোরআন ও সাহিহ হাদিসের আলোকে সমাধান দিবেন।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। সূরা ফালাক, নাস ও ইখলাস প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ৩বার করে পড়ে মেয়ের শরীরে ফুঁক দিবেন।উঈযুকুম বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি এই দুআও প্রতিদিন কয়েকবার পড়ে ফুঁক দিবেন। বিসমিল্লাহিল্লাটি লা ইয়া…… এই দুআটি পরিপূর্ণ পড়ে সকাল ও সন্ধ্যা ৩ বার করে ফুঁক দিবেন। আল্লাহুম্মা রব্বান্নাস আজহিবিল….. এই দুআ পরিপূর্ণ পড়ে দিনে কয়েকবার ফুক দিবেন। নিয়মিত বহু দিন ধরে এটা করবেন, ইনশাআল্লাহ ভালো হয়ে যাবে।