আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 3591

অর্থনৈতিক

প্রকাশকাল: 29 নভে. 2015

প্রশ্ন

আস্সালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ১। কেউ যদি কাউকে কোনো অংকের ঋণ দিয়ে অনুরূপ অংকের টাকাই গ্রহণ করে এবং পাশাপাশি অন্যকোনো বস্তু(যার টাকার মূল্য রয়েছে) গ্রহণ করে তা সুদ হবে কি না? আর তা(অতিরিক্ত কোনো বস্তু) যদি ঋণ গ্রহীতা কোনো চুক্তি ব্যতিত স্বেচ্ছায় প্রদান করে, তাহলে সুদ হবে কি না?
২। কোনো কোনো ব্যক্তি ফাতওয়া দেন, সুদী ব্যাংক যে পরিমানে সুদ গ্রহণ করে, তার চেয়ে অর্ধেক বা একটু কম সুদে কেউ টাকা ঋণ দিতে পারবে এবং সে অর্থ তার জন্য বৈধ হবে! এর ব্যাপারে সঠিক তথ্যটি জানাবেন অনুগ্রহ করে। ৩। বেশি অংকের টাকা অর্থাৎ ২,৩/৫ লক্ষ পরিমাণ টাকা নির্ধারিত সময়ে পরিশোধের শর্তে ঋণ নিয়ে, ঠিক সময়ে না দিতে পেরে আরো কিছুদিন বিলম্বে প্রদানের সময় ঋণ গ্রহীতা স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত কিছু অর্থ দিলে, তার বিধান কি? আর যদি ঋণ দাতা কতৃক এরূপ শর্ত দেওয়া হয়, তার বিধান কি?
৪। সুদ হিসেবে নগদ অর্থের বিপরিতে খাদ্যদ্রব্য বা অন্যকিছু গ্রহণ বৈধ হবে কি না?

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ১। ঋণের অতিরিক্ত যে কোন পণ্য নিলেই সেটা সুদ হিসেবে গণ্য হবে। চুক্তি ব্যতিত হলেও যতি ঐ ঋনের কারণে অতিরিক্ত কোন সম্পদ দেয় তাহলেও তা সুদ বলে গণ্য হবে। তবে যদি ঋনের কারণে নয়, উপহার হিসেবে কিছু দেয় তাহলে সুদ হবে না। তবে অবশ্যই ঋণের বিপরীতে হতে পারবে না। ২। এই তথ্য সর্ম্পর্ণ ভিত্তিহীন। এই ফতোয়া একদম ঠিক নয়। ৩। ঋণ দাতা কতৃক এরূপ শর্ত দেওয়া জায়েজ নয়। কারণ তখন সুদ হবে। আর ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত কিছু দিলেও সুদ হবে। এখানে নি:শর্তভাবে আরো কিছু দিন সময় দিতে হবে। ৪। না। সুদ হিসেবে নগদ অর্থের বিপরিতে খাদ্যদ্রব্য বা অন্যকিছু গ্রহণ বৈধ হবে না। হাদীসে সুদের ক্ষেত্রে নগদ অর্থের কোন শর্ত করা হয় নি।