হায়েজ অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে না, এটাই অধিকাশ ফকীহ ও আলেমের মত।ঋতুমতী নারী জুনুবি তথা বড় অপবিত্র ব্যক্তির ন্যায়, কারণ উভয়ের উপর গোসল ফরয। আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,
্রأن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يعلمهم القرآن وكان لا يحجزه عن القرآن إلا الجنابة
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে কুরআন শিক্ষা দিতেন, জানাবত ব্যতীত কোনো বস্তু তাকে কুরআন থেকে বিরত রাখত না”। সুনানু ইবনু মাজাহ, হাদীস নং ৫৯৪, সুনানু তিরমিযী, হাদীস নং ১৪৬। ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। হাফেজ ইবনে হাজার রহি. হাসান বলেছেন। এই বিষয়ে ইমাম তিরমিযী রহ. বলেন,
وهو قول أكثر أهل العلم من أصحاب النبي صلى الله عليه و سلم والتابعين ومن بعدهم مثل سفيان [ الثوري ] و ابن المبارك و الشافعي و أحمد و إسحق قالوا لا تقرأ الحائض [ ولا ] الجنب من القرآن شيئا وإلا طرف الآية والحرف ونحو ذلك ورخصوا للجنب والحائض في التسبيح والتهليل
অধিকাংশ সাহাবী, তাবেই এবং পরবর্তী অধিকাংশ আলেম, যাদের মধ্যে রয়েছেন সুফিয়ান সাউরী, ইবনুল মুবারক, শাফেয়ী, আহমাদ,ইসহাক রা., তাদের মত হলো ঋতুস্রাবী মহিলা এবং গোসল ফরজ এমন ব্যক্তি কুরআন পড়তে পারবে না। তবে আয়াতের কোন অংশ বা হরফ পড়তে পারবে। তবে তাসীবহ তাহলীল এর উদ্দেশ্যে কুরআনের কোন আয়াত পড়তে পারবে। সুনানু তিরমিযী হাদীস নং ১৩১ এর আলোচনা। কোন কোন আলেম হায়েজ আবস্থায় মুখস্ত কুরআন পড়াকে বৈধ বলেছেন। তবে না পড়ার ভিতরই অধিক সতর্কতা নিহিত। https://islamqa.info/ar/answers/2564/%D9%82%D8%B1%D8%A7%D8%A1%D8%A9-%D8%A7%D9%84%D9%82%D8%B1%D8%A7%D9%86-%D8%A7%D8%AB%D9%86%D8%A7%D8%A1-%D8%A7%D9%84%D8%AD%D9%8A%D8%B6