আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 1138

অর্থনৈতিক

প্রকাশকাল: 12 মার্চ 2009

প্রশ্ন

মুহতারাম, আসসালামুআলাইকুম। । আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর পাই নি। আমার একটি প্রশ্ন আছে যে সরকারি চাকরি শেষে প্রাপ্ত পেনশনে তো সুদ হয়ত অনেক ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে সেটা কি হালাল হবে নাকি হারাম? আরো ১টু জানার ইচ্ছা ছিল যে ব্যাংকিং ব্যবস্থা সুদ ভিত্তিক হওয়ায় যদি সেখানে চাকরি করা হারাম হয় বা সুদের সাথে সম্পর্ক আছে জন্য হারাম হয় তাহলে আমরা তো সবাই সেদিক থেকে কোন না কোনোভাবে সুদের সাথে সম্পর্কিত আছিই। । কারন আমাদের সরকারী অর্থনীতি ব্যবস্থাই তো সুদ ভিত্তিক।আমরা চাইলেই এখান থেকে বের হতে পারব না। আমার মনে হয় এর দায়ভার পুরটাই সরকারের। । আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চাকরি পাওয়া টা আসলেই অনেক কঠিন যদিওবা সবার রিজিক এর মালিক আল্লাহ সুবহানাহুতাআলা। । সেদিক থেকে সরকারি চাকরিতে ব্যাংক ১টি লোভনীয় সেক্টর। ১এ খুব ভালো বেতন তার উপর অন্যান্য সুবিধা যেমন নিজের বাড়ি বা এলাকা থেকে চাকরি করা যায়। এমতাবস্থায় আসলে কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারছি না। দয়া করে আরো ভালো পরিষ্কার করে বলবেন।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ভাই 1116 নং প্রশ্রের উত্তরে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে। আবারো দিচ্ছি। টাকা যতদিন ব্যক্তির হাতে না আসবে ততদিন তার মালিক ব্যক্তি নয়। পেনশেনের টাকা সরাকরের তহবিলে থাকে চাইলেও চাকুরীজীবি ব্যক্তি তা গ্রহন করতে পারে না। তাই তার সুদ হওয়া না হওযার বিষয়টি ব্যক্তির উপর আসবে না। আলেমগণ এই টাকাকে সুদ বলেন নি। এই বিষয়ে একটি প্রশ্রের জবাবে স্যার রহ. বলেছেন, একটি প্রশ্নের উত্তরে স্যার রহ. বলেছেন, প্রভিডেন্ট ফান্ডের ইন্টারেস্ট অধিকাংশ আলেমের মতে সুদ নয়, হালাল। তবে কোন কোন আলেম হারাম বলেছেন। তবে হারাম নয় বলেই মনে হয়। 0224 নং প্রশ্নের উত্তরে। ব্যাংকে চাকুরী জায়েজ কি না, এ সম্পর্কে স্যার রহ. এর তত্বাবধানে এখান থেকে অন্তত তিনটি প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে। 0093 নং প্রশ্নের উত্তরটি আমি হুবুহ দিয়ে দিলাম। (0093) সুদভিত্তিক ব্যাংকে কাজ করে উপার্জিত অর্থ হালাল নয়। তবে শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালিত ব্যাংকে কাজ করে উপার্জিত অর্থ হারাম হবে না। কেননা হররত জাবরে রা. বলনে, لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- آكِلَ الرِّبَا وَمُوكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ وَقَالَ هُمْ سَوَاءٌ র্অথ: রাসূলুল্লাহ সা. সুদ গ্রহীতা, দাতা, লখেক, সাক্ষীদ্বয় প্রত্যকেরে উপর লানাত (অভশিাপ) দয়িছেনে এবং বলছেনে (পাপরে দকি থকে) সবাই সমান। সহীহ মুসলমি, হাদীস নং৪১১৭। আর আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর হলো আপনার জন্য উচিৎ হবে মাহরাম ব্যাংকার আত্নীয়ের বাসায় টাকা দিয়ে খাওয়া দাওয়া করা। উল্লেখ্য প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশটি ছিল ব্যাংকার (সুদ ভিত্তিক) আত্নীয়ের বাসায় নিয়মিত থেকে খাওয়া যাবে কি না? স্যার বলেছেন, টাকা দিয়ে খেতে হবে। 0095 নং প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকে ডাটা এন্ট্রি চাকুরী জায়জে কি না? উত্তরটি আমি হুবহু দিয়ে দিলাম। 0095 না। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সুদভিত্তিক কোন ব্যাংকে এই পদে চাকুরী করা কারো জন্য জায়েয হবে না এবং এখান থেকে উপার্জিত অর্থ কারো জন্য হালাল নয়। হররত জাবের রা. বলনে, لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- آكِلَ الرِّبَا وَمُوكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ وَقَالَ هُمْ سَوَاءٌ র্অথ: রাসূলুল্লাহ সা. সুদ গ্রহীতা, দাতা, লখেক, সাক্ষীদ্বয় প্রত্যকেরে উপর লানাত (অভিশাপ) দিয়েছেন এবং বলেছেন (পাপরে দিক থেকে) সবাই সমান। সহীহ মুসলমি, হাদীস নং৪১১৭। আর প্রশ্নোক্ত কাজটি সুদ লেখার অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং আমাদরে জন্য আবশ্যক এমন চাকুরী থকেে বিরত থাকা। 0072 নং প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকুরী জায়েজ কি না? উত্তর ছিল একই রকম। এখন আসি দ্বিতীয় বিষয়ে আপনি বলেছেন যেহেতু সরকারের সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সুদ ভিত্তিক তাহলে কোন সেক্টরেই কর্ম কর জায়েজ হবে না। আপনার এই চিন্ত সঠিক নয়। আপনার কাজ হলো কাজ করা, যার কাজ করবেন তিনি কোথা থেকে অর্থ দিবেন সেটা তার ব্যাপার তবে আপনি যে কাজটি করছেন সেটা হালাল হতে হবে। অন্যান্য সেক্টর হালাল কাজের অন্তভূক্ত আর ব্যাংকে যে কাজটি করছেন সেই কাজটিই স্বয়ং হারাম। অর্থাৎ ব্যাংকের কাজই তো সুদ লেখা, সাক্ষী থাকা, যাবতীয় কাজই সুদ বিষয়ক আর এগুলো হাদীসের আলোকে সব হারাম। সুদের দায়ভার সরকারের কিন্তু সুদ লেখা এবং সুদের অন্যান্য কাজের দায়ভার আপনারও। আরো একটা উদাহরণ দিই। মনে করেন আপনি কোন দোকানে চাকুরী করেন। দোকানের মালিক মাস শেষে আপনাকে সম্মানী দেবেন। তিনি কোথা থেকে দিবেন সেটা আপনার দেখার বিষয় নয়। কিন্তু ঐ দোকানে যা কিছু বিক্রি করা হয় তা হালাল কি না তা আপনাকে দেখতে হবে। যেমন, যদি মদের দোকান হয় তাহলে আপনার জন্য ঐ দোকানে কাজ করা জায়েজ হবে না। হালাল পন্য হলে জায়েজ। সুদ মদ থেকেও নিকৃষ্ট। সুদভিত্তিক ব্যাংক মদের দোকানের থেকেও নিকৃষ্ট। মদের দোকানে যেমন কাজ করা জায়েজ নেই এক কাথায় বলতে গেলে সুদের দোকানেও কাজ করা জায়জ হবে না। এরপরও অস্পষ্টতা থাকলে 01734717299 যোগাযোগ করুন।