আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 1055

আদব আখলাক

প্রকাশকাল: 19 ডিসে. 2008

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
জাজাকাল্লাহ খাইরান,আমি আমার আগের প্রশ্ন গুলোর উত্তর পেয়েছি। আমার আজকের প্রশ্ন :
ওষুধ খাওয়ার সময় কি বলে খেতে হবে? বিসমিল্লাহ নাকি অন্য কোনো দুআ আছে? অন্য কোনো দুআ থাকলে সেইটা কি?

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আমরা আপনাদের খেদমত করতে পারছি জেনে আল্লাহ তায়ালার শুকরি আদায় করছি। আপনি সম্ভবত এর আগে এই প্রশ্নটির সাথে আরো একটি প্রশ্ন করেছিলেন আল্লাহ কোথায় এই ব্যাপারে। দুটি প্রশ্রের উত্তর এক সাথে দিয়ে দিচ্ছি। ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ওষুধ খাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলবেন। আল্লাহ কোথায় আছে সে সম্পর্কে হাফেজ ইবনে কাসীর বলেন, فللناس في هذا المقام مقالات كثيرة جدا، ليس هذا موضع بسطها، وإنما يُسلك في هذا المقام مذهب السلف الصالح: مالك، والأوزاعي، والثوري، والليث بن سعد، والشافعي، وأحمد بن حنبل، وإسحاق بن راهويه وغيرهم، من أئمة المسلمين قديما وحديثا، وهو إمرارها كما جاءت من غير تكييف ولا تشبيه ولا تعطيل আসমান ও জমিনকে আল্লাহ ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, এই ছয় দিনের ব্যস্ততার পর আল্লাহ তাআলা আরশের উপর সমাসীন হন। আল্লাহ আরশের উপর সমাসীন এ স্থানে লোকেরা বহু মতামত পেশ করেছেন বহু জল্পনা-কল্পনা করেছেন। এগুলর ব্যাখ্যা দেওয়ার সুজোগ এখানে নেই। এ ব্যাপারে আমরা শুধু মাত্র পূর্ববর্তী সহীহ আমলকারী বিজ্ঞজনদের মতামত অবলম্বন করেছি। তারা হচ্ছেন ইমাম মালিক, আওযায়ী, সাউরী,লায়েস ইবন সাদ, শাফিঈ, আহমাদ ইবন হাম্বল, ইসহাক ইবন রাহওয়াহ এবং ইসলামের নবীন ও প্রবীন গ্রহণযোগ্য মুসলিম ইমামগন। আর তাদের মতামত হচ্ছে এই যে, কোন রকম সাদৃশ্য স্থাপন ছাড়াই এইটার(আল্লাহ আরশে সমাসীন এইটার) উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। মোট কথা যা কিছু আল্লাহ তাআলা বলেছেন ওইটাকে কোন খেয়াল ও সন্দেহ ছাড়াই মেনে নিতে হবে এবং কোন চুল-চেরা বিশ্লেষণ করা চলবে না তাফসীরে ইবনে কাসীর, সূরা আরাফ, আয়াত নং ৫৪। অর্থাৎ আল্লাহ বলেছেন তিনি আরশে সুতরাং কোন প্রকার বিশ্লেষণ ছাড়াই মেনে নিতে হবে যে আল্লাহ আরশে সমাসীন এবং আল্লাহ আরশে সমাসীন এইটার কোন সাদৃশ্য ও কল্পনা করা যাবে না কেননা কোন কিছুই তার মত নয়। এই বিষয়ে ইমাম মালেক রহ.কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, الاستواء معلوم والكيفية مجهولة، والسؤال عنه بدعة، والايمان به واجب আল্লাহ তাআলার আরশে ইস্তিওয়া এর বিষয়টি জানা যায়, কিন্তু অবস্থা অজানা। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা বিদআত। আর এ বিষয়ে ঈমান রাখা ওয়াজিব। তাফসীরে মানার. সূরা আল-ইমরান আয়াত নং৭। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আর আপনি ছেলেকে যা বলেছেন তা বলতে পারেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দেখুন শায়খ ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রচিত আল-ফিকহুল আকবার, বঙ্গানুবাদ ও ব্যাখ্য এবং ইসলামী আকীদা বইটি। আমার আপনার ছেলের জন্য দুআ করি আল্লাহ তাকে দীনের দায়ী হিসাবে কবুল করুন।